
বৈচিত্র্যের খোঁজে। ছবি: সংগৃহীত
বিশ্বজুড়ে অদ্ভুত বা রহস্যময় স্থানের অভাব নেই। আর সেসব স্থানের মধ্যে প্রথম সারিতেই রয়েছে ভারতবর্ষ। তাইতো প্রতিবছর লাখ লাখ বিদেশি পর্যটক এখানে আসেন বৈচিত্র্যের খোঁজে। কাশ্মীর থেকে কন্যাকুমারিকা, কচ্ছ থেকে কামাখ্যা- যেখানেই যান না কেন, কিছু না কিছু দেখে তাক লাগবেই পর্যটকদের।
ইঁদুরের মন্দির, চৌম্বক পর্বত, ঝুলন্ত স্তম্ভ, কঙ্কালের হ্রদ- সবই এই রহস্যময় স্থানের মধ্যে পড়ে। সত্যি বলতে যা কিছুর ব্যাখ্যা মানুষ দিতে পারে না, সেটাই তার কাছে রহস্যময়। আবার ব্যাখ্যা দিলেই তো হলো না, সেটা তো মনমতো বা যুক্তিসঙ্গত হতে হবে! এই যেমন- এমনকিছু গ্রাম আছে, যেখানকার কাহিনি শুনলে আপনার চোখ কপালে উঠবে; কিন্তু এর কোনো ব্যাখ্যাই পাওয়া যায় না।
মহারাষ্ট্রের সোলাপুরের নাম অনেকেই হয়তো শুনেছেন। এখানকারই ছোটো একটি গ্রামের নাম শেতফল। এলাকায় গ্রামটি ‘নাগ দেবতার আশীর্বাদধন্য গ্রাম’ নামে পরিচিত।
এই গ্রামের রাস্তা-ঘাট, ঘর-বাড়িতে কিলবিল করে সাপ। নিয়ম অনুযায়ী গ্রামের প্রত্যেক বাড়িতে একটি করে কেউটে বা চন্দ্রবোড়া থাকা আবশ্যক। গ্রামের ছোটো ছোটো ছেলে-মেয়েরা সাপের সঙ্গে খেলা করে, হাতে সাপ নিয়ে ঘুরে বেড়ায়। সাপেরাও নিশ্চিন্ত মনে গ্রামে ঘুরে বেড়ায়। ছোবল দেওয়া তো দূরের কথা বরং গ্রামবাসীদের সঙ্গে তাদের বন্ধুত্বের সম্পর্ক।
গ্রামবাসীদের বিশ্বাস- নাগ দেবতার আশীর্বাদ এবং নির্দেশেই সাপেরা গ্রাম পাহারা দেয়। সবচেয়ে আশ্চর্যের ব্যাপার হলো, সাপগুলো গ্রামবাসীদের কোনো ক্ষতি করে না।