বাসা পরিষ্কারের উপকরণ। ছবি: সংগৃহীত
পরিপাটি করে গুছিয়ে রাখা ঘর-বাড়ি সবাই পছন্দ করে এবং দেখতেও খুব ভালো লাগে। বর্তমানের ব্যস্ত জীবনে প্রতিদিনের বেশ সময় নিয়ে হয়তো ঘর গোছানোর জন্য ব্যয় করা সম্ভব হয় না। তাই চাইলেও অনেকে ঘর সবসময় পরিপাটি রাখতে পারেন না। তবে রোজ যদি অল্প অল্প করে ঘর পরিষ্কার রাখেন, তা হলে একদিনে বেশি চাপ পড়বে না। তাই ঘর পরিষ্কার ও পরিপাটি রাখতে একটি পরিকল্পনা করে নিতে পারেন। পাশাপাশি বাড়ির অন্য সদস্যদেরও বলুন সাহায্য করতে। এতে কাজ সহজ হবে।
একদিনেই পুরো বাড়ি পরিষ্কার করার চাপ নেবেন না। প্রত্যেকদিন একটি করে ঘর বেছে নিন। শুরু করুন ঘরের সিলিং থেকে। মাথায় কাপড় ও মুখে মাস্ক পরে নিন, এতে ধুলো নাকে-মুখে ঢুকবে না।
আসবাবপত্র পরিষ্কারের জন্য পাতলা কাপড় ব্যবহার করুন। কাপড়টি ভিজিয়ে ভালোমতো পানি ঝড়িয়ে নিতে হবে; সঙ্গে একটি শুকনো কাপড়ও রাখুন। এতে আসবাবপত্রে লেগে থাকা ধুলা-ময়লা দ্রুত দূর হবে।
জায়গার জিনিসটি সেই স্থানেই রাখুন। তা হলে গোছানোর কাজ অনেকটা কমে যায়। তাই ঘরে কোনো জিনিসই ছড়িয়ে রাখবেন না। কারণ কোনো কিছু আজ ছড়িয়ে রাখলে পরে সেটি পরিষ্কার করার দায়িত্ব আপনারই। তাই প্রতিটি জিনিসপত্র সঠিকভাবে গুছিয়ে রাখুন।
কার্পেট থাকলে তার ওপর বেকিং সোডা ছড়িয়ে দিন। কিছুক্ষণ রেখে ভালো করে পরিষ্কার করে ফেলুন। এতে দুর্গন্ধ দূর হয়ে যাবে।
ঘরের ভেতরে গাছ থাকলে টবে জমে থাকা শুকনো পাতা, ফুল ফেলে দিন। গাছের পাতা ভেজা নরম কাপড় দিয়ে মুছে ফেলুন। গাছ সতেজ থাকবে।
পর্দা ও পেলমেট খুলে পরিষ্কার করে নিন। যদি পর্দা না খুলতে চান, তা হলে ভ্যাকুয়াম ক্লিনার দিয়ে পরিষ্কার করতে পারেন। ভ্যাকুয়াম ক্লিনার না থাকলে, বড় নরম ঝাঁটা দিয়ে পর্দা ঝেড়ে নিন।
পুরো বাসা একদিনে গোছানো সম্ভব নয়। তাই সপ্তাহের ২-৩ দিন জিনিসপত্র গোছানোর জন্য রাখুন। এক একটি দিনে বাড়ির এক একটি স্থান গুছিয়ে ফেলুন। এতে একদিনে সব চাপ পড়বে না।