
কলার খোসা ফেলনা নয়। এর রয়েছে পুষ্টিগুণ। এটি স্বাস্থ্যের জন্যও উপকারি। শুধু তাই নয়, কলার খোসা ভিন্ন কাজে ব্যবহারও করা যায়।
কলার খোসার পুষ্টিগুণ নিয়ে বিজনেস ইনসাইডারের এক প্রতিবেদনে বেশকিছু তথ্য তুলে ধরা হয়েছে।
চলুন জেনে নিই কলার খোসার পুষ্টিগুণ ও ব্যবহার সম্পর্কে:
১. কলার খোসার মধ্যে থাকা শতকরা ১২ ভাগ আঁশ হজমে সাহায্য করে। এটি ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কমায়। এটি খেলে ওজনও নিয়ন্ত্রণে থাকে।
২. এতে শতকরা ১৭ ভাগ ভিটামিন সি থাকে। এটি আমাদের রোগ প্রতিরোধক্ষমতা আরো বাড়াতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
৩. খোসার মধ্যে রয়েছে ২০ শতাংশ ভিটামিন বি-৬। এটি আমাদের শরীরের শক্তি যোগানের উৎস হিসেবে কাজ করে।
৪. কলার খোসায় রয়েছে শতকরা ১২ ভাগ পটাশিয়াম। এটি শরীরের বিভিন্ন অঙ্গপ্রত্যঙ্গ বাড়তে সাহায্য করে।
৫. এছাড়া কলার খোসার মধ্যে থাকা শতকরা ৮ ভাগ ম্যাগনেশিয়াম শরীরে শক্তি যোগায়। পাশাপশি এটি গ্লুকোজ ও রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ রাখে।
কলার খোসার ভিন্ন ব্যবহার
কয়েকটি কলার খোসা নিয়ে এক বালতি পানিতে মিশিয়ে চার-পাঁচ দিন রেখে দিন। এরপর ওই পানি গাছে দিতে পারেন, যা গাছের শক্তি বাড়াতে সাহায্য করবে। আপনি চাইলে কলার ভিনেগার বানাতে পারেন, যা সালাদে ও বিভিন্ন সবজিতে ব্যবহার করতে পারেন।
যেভাবে খাবেন কলার খোসা
কাঁচা কলার খোসা সেদ্ধ করে ভর্তা করে বা সবজির মতো রান্না করে খেতে পারেন। এছাড়া খোসাকে কাঁচাও খাওয়া যায়। তবে খাওয়ার আগে কলাকে ভালোভাবে পাকার জন্য সময় দিন এবং খোসাকে পাতলা হতে দিন। তখন এটির স্বাদ কিছুটা মিষ্টি হবে এবং খেতেও ভালো লাগবে। পাকা কলার খোসা খেলে খোসার ভেতরের সাদা দিকটি খাবেন। তবে অনেকে পাকা কলার খোসাও খাওয়ার আগে ১০ মিনিট ফুটিয়ে নিন।