ফ্যাশন অনুষঙ্গ হয়ে উঠেছে চশমা। ছবি: সংগৃহীত
অনেকেরই কাছে চশমা জীবনের অপরিহার্য সঙ্গী হলেও জুতা, ঘড়ি, ব্যাগের মতোই ফ্যাশন অনুষঙ্গ হয়ে উঠেছে। চশমার ফ্রেম, শেপ, রঙ, গ্লাস নিয়ে ফ্যাশন দুনিয়ায় পরীক্ষা-নিরীক্ষা চলছেই। তবে যতই স্টাইলিশ বা দামি চশমা কিনুন না কেন, যত্ন না নিলে তা ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে পড়ে। এ জন্য রইল সহজ কিছু টিপস।
চশমা পরিষ্কার করতে প্রতিদিন নিয়ম করে মাইক্রোফাইবারের কাপড় দিয়ে চারদিকে হালকাভাবে ঘুরিয়ে চশমার লেন্স মুছে নিন। শক্ত বা খসখসে কাপড় ব্যবহার করা যাবে না।
সপ্তাহে একদিন চশমা ধুয়ে পরিষ্কার করা উচিত। একটি বাটিতে কুসুম গরম পানি নিয়ে কয়েক ফোঁটা তরল সাবান মেশান। এরপর ওই পানিতে চশমা কিছুক্ষণ ডুবিয়ে রাখুন। তারপর চশমা ঠান্ডা পানিতে ধুয়ে নরম কাপড় দিয়ে মুছে ফেলুন।
বর্তমানে চশমা পরিষ্কার করতে বিভিন্ন ধরনের লেন্স ক্লিনার স্প্রে পাওয়া যায়। চশমায় এই স্প্রে লাগিয়ে নরম কাপড় দিয়ে মুছে ফেলুন। একটি কটন বাড ক্লিনিং সলিউশনে ডুবিয়ে চশমার নোজ প্যাড পরিষ্কার করুন।
চশমায় ঘাম লাগলে তা ভালো করে মুছে রাখুন। ঘাম লেন্সেরও ক্ষতি করে। এ ছাড়া লেন্সে হাত দেবেন না।
চশমা মাথার ওপর তুলে রাখবেন না। এতে চশমার অ্যালাইনমেন্ট নষ্ট হয়ে যায়। চশমার লেন্স ঠিক থাকলেও অ্যালাইনমেন্ট ঠিক না হলে দেখতে অসুবিধা হয়।
চশমা খুলে রাখার সময় লেন্সের দিকটা সব সময় ওপরের দিকে রাখুন। লেন্স নিচের দিকে রাখলে ঘষা লেগে লেন্স খারাপ হয়ে যেতে পারে। ঘুমানোর সময় চশমা খুলে বালিশের পাশে বা নিচে না রেখে কেসে রাখুন।
চশমা সরাসরি রোদে রাখবেন না। এতে লেন্স বা ফ্রেমের ক্ষতি হতে পারে।
চশমা বানানোর সময় লেন্সের গুণগত মানের দিকে খেয়াল রাখুন। না হলে চোখের ক্ষতি হতে পারে। চোখের পাওয়ার পরিবর্তন হলে সঙ্গে সঙ্গে নতুন চশমা বানিয়ে নিন।
দীর্ঘদিন একই চশমা পরলে লেন্স ফ্যাকাশে হয়ে যায় কিংবা লালচে আভা দেখা দেয়। এ ক্ষেত্রে দেরি না করে নতুন চশমা বানিয়ে নিন।