তরুণ বয়স থেকে কীভাবে সফলতার দিকে এগিয়ে যাওয়া যায় তা নিয়ে থাকছে কিছু পরামর্শ। বর্তমান বিশ্বে তরুণদের প্রতিনিয়ত বিভিন্ন চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে হয়। এসব চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় নিজেকে সবার চেয়ে আলাদাভাবে গড়ে তুলতে হয়। নিজের মধ্যে আলাদা কিছু থাকে তাহলে সেই তরুণ অন্যদের চেয়ে এগিয়ে থাকে। যদিও তরুণ বয়সে সফল হওয়া সহজ কথা নয়, তবে উদাহরণ এখন অহরহ। তরুণদের হাতে বিশ্বে অনেক পরিবর্তন এসেছে। তাই তরুণ বয়স থেকে কীভাবে সফলতার দিকে এগিয়ে যাওয়া যায় তা নিয়ে থাকছে কিছু পরামর্শ।

নেশাকে না বলা

বর্তমানে মাদকের নীল বিষে শেষ হয়ে যাচ্ছে অনেক তরুণের ভবিষ্যৎ। তাই মাদককে না বলতে হবে। কখনোই মাদকের প্রতি আকৃষ্ট হওয়া যাবে না। কৌতূহল থেকেও মাদকের কাছে যাওয়া যাবে না। কারণ একবার মাদকের নেশায় আসক্ত হলে একজন তরুণের সব সম্ভাবনার ইতি ঘটে। ওই জগৎ থেকে সহজে আর বের হওয়া যায় না। তাই মাদককে না বলতে হবে, নেশাকে ঘৃণা করতে হবে।

স্বকীয়তা

আমাদের সবার মধ্যে কিছু গুণ থাকে। তাই নিজের গুণকে খুঁজে বের করতে হবে। এটাই হলো স্বকীয়তা। কারও যদি সৃজনশীল কিছু করতে ভালো লাগে, তাহলে তাই করতে হবে। এভাবে একটা নিজস্ব জগৎ, আলাদা পরিচিতি তৈরি হবে। অন্য দশজনের সঙ্গে সেখানেই হবে মূল পার্থক্য। হয়তো এ ব্যাপারে অনেকে দ্বিমত পোষণ করবেন, কিন্তু নিজের যেটা ভালো লাগে সেটাকে আগে গুরুত্ব দিতে হবে। এটা দোষের কিছু নয়।

পড়ালেখায় ভালো করা

যা-ই করুক না কেন, একজন তরুণকে পড়ালেখায় ভালো করতে হবে। এখানে ছাড় দেওয়ার কোনো সুযোগ নেই। পড়ালেখায় মনোযোগী হতে হবে। ভালো ফল করতে হবে। তাহলে আগামী সুন্দর হবে। আর পড়ালেখায় ভালো করলে যে কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া সহজ। পরিবার ও কাছের মানুষকে পাশে পাওয়া যায়। তাই সফল হতে পড়ালেখায় ভালো করার বিকল্প নেই।

সামাজিক কাজ

তরুণ বয়স থেকে বিভিন্ন সামাজিক কাজের সঙ্গে যুক্ত হতে হবে। তার মানে অনেক বড় কিছু করতে হবে এমন না, ছোট ছোট কাজ করেও সমাজের মানুষের পাশে থাকা যায়। আর ছোট কাজগুলো জমে একদিন ঠিকই বড় কাজ হয়ে যায়। আগে শুরু করতে হবে।

লক্ষ্য ঠিক করা

তরুণ বয়সের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ কাজ, জীবনের লক্ষ্য স্থির করা। একবার লক্ষ্য ঠিক করতে পারলে বাকি কাজ সহজ হয়ে যায়। ওই লক্ষ্যকে ভিত্তি করে সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা সাজানো যায়। তাহলে ক্যারিয়ারে এগিয়ে থাকা যায়, সফলতার সম্ভাবনাও বেড়ে যায়।