
চলছে গ্রীষ্মকাল। বাজারে থরে থরে সাজানো পাকা আম। তবে কিনতে গেলেই মনে খটকা লাগে এগুলো সত্যিই গাছে পেকেছে নাকি রাসায়নিক দিয়ে পাকানো হয়েছে।
বেশি লাভের আশায় অসাধু ব্যবসায়ীরা ফলে ফরমালিন মেশায়। কাঁচা আম দ্রুত পাকিয়ে কিংবা বেশি দিন সংরক্ষণের জন্য আমে দেয়া হয় ক্ষতিকর রাসায়নিক উপাদান। যা মানবদেহের জন্য খুবই ক্ষতিকর। তাই রাসায়নিকভাবে পাকানো আম চেনাটা জরুরি।
যেভাবে কৃত্রিমভাবে পাকানো আম চিনবেন:
১. যেসব আম রাসায়নিক দিয়ে পাকানো, সেগুলো দেখতে বেশ আকর্ষনীয় ও উজ্জ্বল হবে।
২. গাছে পাকা ফলের পুরো অংশ কখনোই সমানভাবে পাকে না। কিন্তু রাসায়নিক দিয়ে পাকানো আমের সবদিকটাই সমানভাবে পাকবে।
৩. স্বাভাবিক পাকা ফলের মতো মিষ্টি গন্ধ থাকে না।
৪. গাছে পাকা ফলের চামড়ায় এক ফোঁটা আয়োডিন দিলে তা গাঢ় নীল অথবা কালো বর্ণের হয়ে যাবে। কিন্তু ক্ষতিকর উপাদানে পাকানো আমের রং অপরিবর্তিত থাকে।
তাই ফলের মৌসুমের আগে ফল কিনবেন না। কারণ, সময়ের আগে প্রাপ্ত ফলগুলো ক্যামিকেল দিয়ে পাকানো হয়ে থাকে। এছাড়া ফল খাওয়ার আগে পানিতে পাঁচ মিনিট ভিজিয়ে রাখুন। তারপর ভালো করে ধুয়ে খোসা ছাড়িয়ে খান।