থার্টি ফার্স্ট নাইটে আতশবাজি ও ফানুস ওড়ানো থেকে বিরত থাকি

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ৩১ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৪:৩১

ফানুস। ছবি: সংগৃহীত
নতুন বছর উদ্যাপন একটি আনন্দঘন মুহূর্ত। বছরের শেষ দিন অর্থাৎ থার্টি ফার্স্ট নাইটে পুরোনো বছরকে বিদায় এবং নতুন বছরকে বরণ করে নিতে করা হয় নানান আয়োজন। অনেক দেশে এই সংস্কৃতি বহুকাল ধরে চলে আসছে। বাংলাদেশের মানুষও এই আয়োজন অনুসরণ করেন।
উৎসবপ্রিয় বাঙালির উদযাপনে যুক্ত হয়েছে আতশবাজি, পটকা, ফানুস। আনন্দ-আয়োজন বাড়িয়ে দিলেও এ যেন মৃত্যুফাঁদ পেতে রাখে। বিগত দিনে ফানুসের আগুন ঘরবাড়িতে লাগার ঘটনা খবরের শিরোনাম হতে দেখা গেছে।
তাছাড়া, বর্তমানে আমাদের দেশে থার্টি ফাস্ট নাইট উদ্যাপনে আতশবাজি, ফানুস ওড়ানো এবং উচ্চশব্দে মিউজিক বাজিয়ে নতুন বছরকে আগমন জানানোর প্রবণতা মাত্রাতিরিক্তভাবে বেড়েছে। এসব উদ্যাপন আমাদের সাময়িক সময়ের জন্য আনন্দ দিলেও এর বিরূপ প্রভাব দীর্ঘমেয়াদি সমস্যার সৃষ্টি করে।
আতশবাজি থেকে প্রচুর পরিমাণে কার্বন ডাই-অক্সাইড এবং সালফার ডাই-অক্সাইড নির্গত হয়, যা বায়ুদূষণের প্রধান কারণ। বিশেষ করে ফানুস উড়ানো থেকে সহজেই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটতে পারে। এটি মানুষের জীবন এবং সম্পদের জন্য বড় হুমকি। আতশবাজির উচ্চ শব্দ ও আলোর ঝলকানি আশপাশের পশু-পাখির জন্য অত্যন্ত কষ্টদায়ক হয়। এ ছাড়াও আতশবাজির ধোঁয়া শ্বাসপ্রশ্বাসজনিত সমস্যা তৈরি করতে পারে, বিশেষ করে বাচ্চা ও বৃদ্ধদের জন্য।
আতশবাজি ও ফানুস ওড়ানোর পরিবর্তে আলো দিয়ে ঘর সাজানো বা প্রিয়জনদের সঙ্গে একত্রে বসে গল্প করার মাধ্যমে উদ্যাপন হতে পারে এক অনন্য দৃষ্টান্ত। সাউন্ডবক্সের মাত্রাও কমিয়ে রাখা যায়। আমরা যদি আনন্দের পাশাপাশি সচেতন থাকি, তবে আমাদের উদ্যাপন হবে সবার জন্য নিরাপদ ও পরিবেশবান্ধব।