প্রতীকী ছবি
দেখতে দেখতে পেরিয়ে গেল আরেকটি বছর। বিদায়ি বছরে হয়তো সবকিছু মনের মতো হয়নি। অনেক পরিকল্পনা থাকলেও সবকিছু পূরণ হয়নি। তবে সেই অপ্রাপ্তির কথা ভুলে নতুন বছর শুরু করতে হবে। নতুন বছরের জন্য নতুন করে পরিকল্পনা সাজাতে হবে। পুরোনো বছরের হতাশাকে ভুলে কীভাবে নতুন বছরকে ইতিবাচক করে তুলবেন তা জেনে নিন।
নতুন বছর নতুন রুটিন
পড়ালেখা ও স্বাস্থ্যকর জীবনের জন্য রুটিন মেনে চলা গুরুত্বপূর্ণ। তাই নতুন বছরের শুরুতে রুটিন তৈরি করে নিন। রুটিনে খাওয়া, ঘুম, পড়ালেখা, অবসর যাপনসহ প্রতিদিনের দরকারি কাজের জন্য সময় নির্ধারণ করে নিন। তরুণদের একটি বদ-অভ্যাস আছে- রাত জেগে সকালে দেরি করে ঘুম থেকে ওঠা। এতে শরীর ও মস্তিষ্কের ক্ষতি হয়। দিনের বিভিন্ন কাজের জন্য পর্যাপ্ত সময় পাওয়া যায় না। তাই নতুন বছরের শুরু থেকে মেনে নির্ধারিত সময়ে ঘুম ও জাগার অভ্যাস তৈরি করতে হবে।
অসমাপ্ত কাজ শেষ করা
আজ নয়, কাল কিংবা পরশু- এভাবে আমরা অনেক কাজ ফেলে রাখি। কিন্তু সময় ঠিকই চলে যায়, কাজ আর শেষ হয় না। এতে অনেক গুরুত্বপূর্ণ কাজ আমরা সময়মতো শেষ করতে পারি না। আবার কখনো কখনো পরিকল্পনা করতে করতেই মাসের পর মাস শেষ হয়ে যায়। ফলে আমাদের মধ্যে হতাশা তৈরি হয়, আত্মবিশ্বাস কমে যায়। তাই নতুন বছরে অসমাপ্ত কাজের তালিকা করতে হবে। তারপর সেখান থেকে গুরুত্ব অনুযায়ী কাজগুলো শেষ করতে হবে। তবে অদরকারি কাজে সময় নষ্ট করা ঠিক হবে না। কেবল দরকারি কাজগুলো করতে হবে। তাহলে সময়ের ভারসাম্য রক্ষা করা সম্ভব হবে।
পুরোনো বছরকে মনে করা
নতুন বছরের পরিকল্পনা সাজানোর আগে পুরোনো বছরের দিকে অন্তত একবার তাকাতে হবে। তাহলে বিদায়ি বছরের সফলতাগুলো মনে পড়বে। এ ছাড়া যেসব কাজে সফলতা আসেনি সেগুলোর কথাও মনে পড়বে। আর সেখান থেকে নিজের ভুলগুলো চিহ্নিত করা সম্ভব হবে। নিজের ভুলগুলো শনাক্ত করতে পারলে, নিজেকে শুধরে নেওয়া সম্ভব হবে। একই সঙ্গে কোথায় কোথায় নিজের দক্ষতা বাড়াতে হবে, সেটাও বোঝা সম্ভব হবে।
বদ-অভ্যাসকে বিদায় বলুন
সাধারণত তরুণ বয়সে প্রত্যেকের কোনো না কোনো বাজে অভ্যাস থাকে। তবে এসব বদ-অভ্যাস ত্যাগ করতে হবে। এ জন্য নতুন বছর হতে পারে ভালো একটি সময়। বর্তমানে তরুণরা সামাজিক মাধ্যমে দীর্ঘ সময় কাটাতে পছন্দ করেন। নতুন বছর থেকে এই সময়টা কমিয়ে দরকারি কাজগুলো করে ফেলতে হবে। এ ছাড়া দাঁত দিয়ে নখ কাটা, খাবার নষ্ট করা, অল্পতে রেগে যাওয়ার অভ্যাস থাকলে সেগুলো থেকেও নিজেকে সরিয়ে নিতে হবে।
ভালো কাজ করুন
নতুন বছরে কিছু ভালো কাজের পরিকল্পনা মাথায় রাখুন। তাহলে দেশ ও সমাজের উপহার হবে। যেমন পরিবেশ নিয়ে কাজ, সামাজিক বা স্বেচ্ছাসেবী কাজ, রক্ত দান সংগঠনে নাম লেখানো ইত্যাদি। এসব ছোট ছোট কাজ সমাজ ও দেশে ইতিবাচক প্রভাব ফেলে। আর ছোট ছোট কাজ দিয়েই দেশটা বদলে যায়। তাই এসব কাজ দিয়ে ভালো রাখতে পারেন দেশের তরুণ সমাজ।
সৃজনশীলতার বিকাশ
আমাদের প্রত্যেকের মধ্যে কিছু না কিছু সৃজনশীলতা আছে। নতুন বছরে এসব সৃজনশীলতার বিকাশ ঘটাতে হবে। তাই শুরুতে প্রতিভা ও দক্ষতা অনুযায়ী নিজের সৃজনশীলতাকে খুঁজে বের করতে হবে। তারপর সেগুলো নিয়ে কাজ করতে হবে। সেটা হতে পারে নাচ, গান, ছবি আঁকা, খেলাধুলা বা নিজের পছন্দের অন্যকিছু।