Logo
×

Follow Us

লাইফস্টাইল

শীতকালে ঘুরবেন দেশের যেসব স্পটে

Icon

লাইফস্টাইল ডেস্ক

প্রকাশ: ০৮ জানুয়ারি ২০২৫, ১৫:৩১

শীতকালে ঘুরবেন দেশের যেসব স্পটে

প্রতীকী ছবি।

ভ্রমণের জন্য উপর্যুক্ত মৌসুম শীতকাল। প্রতি বছর শীতের মৌসুমে প্রকৃতি তার চিরাচরিত সৌন্দর্য ফিরে পায়। যেকারনে সারাদেশের পর্যটন স্পটগুলোতে বাড়ে পর্যটকের সংখ্যা। চলতি বছর শীতের হাওয়া লাগতেই ভ্রমণপিপাসুদের অনেকেই ঘুরতে বেড়িয়েছেন, আবার অনেকে ঘোরার পরিকল্পনা করছেন। এবারের শীত শেষ হবার আগেই দেশের কোন কোন স্থানে ঘুরতে যেতে পারেন, চলুন জেনে নেওয়া যাক-  

পঞ্চগড়

বাংলাদেশের হিমালয় কন্যা খ্যাত জেলা পঞ্চগড়। হিমালয়ের পাদদেশে জেলাটির ভৌগোলিক অবস্থান হওয়ায় পঞ্চগড়কে বলা হয় হিমালয় কন্যা। কাঞ্চনজঙ্ঘা বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম পর্বত। প্রতি বছর শীতের সময় বাংলাদেশ থেকে দেখা মেলে এই পর্বতের। পঞ্চগড় ও তেঁতুলিয়া থেকে স্পষ্টভাবে দেখা মেলে কাঞ্চনজঙ্ঘার। অক্টোবরের মাঝামাঝি থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত দেখা মেলে পর্বতের।

সুন্দরবন

বাংলাদেশের খুলনা, সাতক্ষীরা, বরগুনা, বাগেরহাট, পটুয়াখালী ও ভারতের কিছু অংশ নিয়ে গড়ে উঠেছে পৃথিবীর সবচেয়ে বড় এই ম্যানগ্রোভ বন। বিশ্বের ঐতিহ্যবাহী স্থান হিসেবে ইউনেসকো স্বীকৃত এই বনাঞ্চলটি বৈচিত্র্যপূর্ণ প্রাণের আধার। এখানে জন্মানো সুন্দরী বৃক্ষের কারণে সুন্দরবন নামেই বিশ্বখ্যাতি পেয়েছে রয়েল বেঙ্গল টাইগারের এই প্রধান বিচরণক্ষেত্রটি।

সেখানকার সবগুলো দর্শনীয় স্থান ঘুরে দেখার একমাত্র মাধ্যম লঞ্চ ও ছোট জাহাজ। আগে সুন্দরবনে সাধারণত সবাই খুলনা বা মোংলা হয়েই যেত। তবে পদ্মা সেতু চালু হওয়ার কারণে এখন সড়কপথেই সুন্দরবন ভ্রমণে যেতে পারছেন পর্যটকরা।

মালনীছড়া চা বাগান

উপমহাদেশের সবচেয়ে বড় ও সর্বপ্রথম প্রতিষ্ঠিত চা বাগান হলো সিলেটের মালনীছড়া চা বাগান। বর্তমানে বেসরকারি তত্ত্বাবধানে থাকলেও চা বাগানপ্রিয় ভ্রমণপিপাসুদের কাছে বেশ পছন্দের একটি জায়গা হয়ে উঠেছে। কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিয়ে নির্দ্বিধায় ঘুরে বেড়ানো যায় বাগানে। 

কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত

কক্সবাজার বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকত। সাগরের উত্তাল ঢেউ যে কারও মন ভালো করে দেয়। সমুদ্রের দিকে তাকিয়ে কাটিয়ে দেওয়া যায় সারা দিন। এ কারণেই ১২০ কিলোমিটার দীর্ঘ এই সৈকতে থাকে পর্যটকদের ভিড়। এখন ট্রেনেও সহজেই যেতে পারেন কক্সবাজার। এছাড়া ঢাকার ফকিরাপুল, কলাবাগান, সায়েদাবাদ থেকে অধিকাংশ পর্যটক বাসেও যেতে পারেন কক্সবাজার। যেতে সময় লাগে ৮-১০ ঘণ্টা।

আবার চাইলে আকাশপথেও যেত পারেন। হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে বাংলাদেশ বিমান এয়ারলাইনস, ইউএস-বাংলা, নভোএয়ার দিনে ২০টির বেশি ফ্লাইট কক্সবাজারে পরিচালনা করে। ফলে এক ঘণ্টারও কম সময়ে কক্সবাজার যেতে পারছেন পর্যটকরা।

সেন্টমার্টিন দ্বীপ

বাংলাদেশের একমাত্র প্রবাল দ্বীপ সেন্টমার্টিন। স্থানীয়দের কাছে নারিকেল জিঞ্জিরা নামে পরিচিত। বাংলাদেশের মূল ভূখণ্ডের সর্ব দক্ষিণের মাত্র ১৭ বর্গকিলোমিটারের এই ক্ষুদ্র দ্বীপটির অবস্থান কক্সবাজার জেলা শহর থেকে ১২০ কিলোমিটার দূরে। একদিকে নীল দিগন্তের কোণে ফেনিল সমুদ্রের মিশে যাওয়া, অন্যদিকে সারি সারি নারিকেল গাছ ঘেরা সাধারণ জীবন ভ্রমণপিপাসুকে অমোঘ আকর্ষণে কাছে টানে।

কুতুবদিয়া দ্বীপ

বাংলাদেশে বাতিঘর দেখতে হলে চলে যেতে হবে কক্সবাজার জেলার ছোট উপজেলা কুতুবদিয়ার এই দ্বীপটিতে। এখানকার প্রাচীন বাতিঘরের ধ্বংসাবশেষটি এখনো যেন ভাটার সময় পুরোনো ইতিহাসের গল্প বলে। বাংলাদেশের একমাত্র বায়ুবিদ্যুৎ কেন্দ্র ও প্রাকৃতিকভাবে লবণ চাষের জন্য এ জায়গাটি বেশ প্রসিদ্ধ। 

শীতকালে ভ্রমণের সময় অবশ্যই সঙ্গে গরম কাপড় নেওয়া আবশ্যক। এছাড়া ওষুধপত্রের সঙ্গে ডেটল, স্যাভলন, ব্যান্ডেজ ও তুলার মতো কিছু ফার্স্ট এইড সামগ্রী সঙ্গে রাখা উচিত। সুপরিকল্পিত পূর্ব প্রস্তুতিই পারে একটি ভ্রমণ নিরাপদ করে তুলতে।

Logo

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়: ফেয়ার দিয়া ১১/৮/ই, ফ্রি স্কুল স্ট্রিট (লেভেল-৮), বক্স কালভার্ট রোড, পান্থপথ, ঢাকা ১২০৫