
ছবি: ইন্টারনেট
নবজাতকের জ্বর হলে মায়ের দুশ্চিন্তা বেড়ে যায়। জেনে রাখা ভালো, নবজাতকের নানা কারণে জ্বর, ঠান্ডা, সর্দি হতে পারে। বংশগত কারণে অথবা পারিপার্শ্বিক অবস্থার কারণেও তাঁদের জ্বর আসে। তবে এ সময় না ঘাবড়িয়ে শিশুর যত্ন নিতে হবে।
নবজাতকের জ্বরের কারণ
১. নবজাতক শিশুকে সরাসরি ফ্যানের নিচে ঘুম পাড়ালে কিংবা এসির নিচে রাখলে শিশুর ঠান্ডা লাগতে পারে এবং জ্বর আসতে পারে।
২. মায়ের সর্দি, কাশি থাকলে শিশুরও সর্দি, কাশি, জ্বর হতে পারে।
৩. গর্ভে থাকা অবস্থায় মা যদি বেশি বেশি পানির সংস্পর্শে আসেন এবং পানি নিয়ে কাজ করেন তাহলে ঠান্ডা কিংবা নিউমোনিয়া নিয়েই শিশু জন্মলাভ করে।
৪. পরিবারের অন্যান্য সদস্যের ভাইরাসজনিত জ্বর হলে শিশুদেরও জ্বর হতে পারে। অবশ্য বড়রা যদি শিশুর সংস্পর্শে আসে তাহলে শিশু আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে।
৫. শিশুর আশেপাশে কেউ সিগেরেট খেলে সিগেরেটের ধোঁয়া শিশুদের ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়ায়। যা শিশু সহ্য করতে পারে না।
নবজাতকের জ্বর প্রতিরোধের উপায়
১. অনেক সময় টীকা দিলে শিশুর জ্বর আসে। কখনো না অন্য কারণে জ্বর হয়। এসময় তাকে বিশ্রাম নিতে দিন। দৈনিক ১৬-১৮ ঘন্টা ঘুমাতে দিন।
২. শিশুর জ্বর হলে বুকের দুধ খেতে দিতে হবে। কারণ মায়ের বুকের দুধে সব ধরণের পুষ্টি উপাদান থাকে।
৩. যেকোনো বয়সের রোগীর সুস্থতায় স্যুপ ভালো কাজ করে। শিশুর সুস্থতায় স্যুপ খেতে দিতে পারেন।
৪. শিশুর জ্বর হলে তাঁকে আরামদায়ক অবস্থায় রাখুন। ঢিলেঢালা পোশাক পরিধান করান। এতে শিশুর শরীরের তাপমাত্রা ধীরে ধীরে কমবে।
৫. নেবুলাইজার দিয়ে শিশুকে গরম বাষ্প দিতে পারেন। কুসুম গরম পানিতে গোসলও করাতে পারেন।