
ডিম ঘোটা প্রস্তুত করছেন বিক্রেতা মো. ফারুক ফারাজী।
ঘোটা ডিমের নাম শুনেছেন কখনো? মনে হতে পারে এ আবার কেমন ডিম! এটা কি আসলেই ডিম না অন্য কিছু? তবে এ ডিম নিয়ে যতই কৌতূহল থাকুক না কেন, এটা আসলেই ডিম। রন্ধন প্রণালির কারণে এর নাম দেওয়া হয়েছে ‘ঘোটা ডিম’।
শুধু বাংলাদেশ থেকে নয়, বর্তমানে ভারত, পাকিস্তান, আমেরিকাসহ পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের বড় বড় ইউটিউবার এবং কনটেন্ট ক্রিয়েটাররা প্রতিনিয়ত আসছেন খুলনার এই ডিম ঘোটা খেতে এবং তা ভিডিওর মাধ্যমে ছড়িয়ে দিচ্ছেন পুরো নেট দুনিয়ায়।
পেঁয়াজ ও মরিচের সঙ্গে নানা ধরনের মসলা দিয়ে ভেজে তৈরি করা হয় অনন্য স্বাদের ‘ঘোটা ডিম’। খুলনা মহানগরীর নিউ মার্কেটের পাশে বায়তুন নূর মসজিদ কমপ্লেক্সের সামনে সন্ধ্যার পর ভোজনরসিকদের ভিড় জমে এ খাবারকে কেন্দ্র করে।
মসজিদের পাশের জায়গাটুকু এখন ভোজনবিলাসীদের আড্ডাস্থলে পরিণত হয়েছে। এখানে শুধু ঘোটা ডিমই নয়, মিলছে নানা রকমের ফাস্ট ফুড, বিরিয়ানি, কফি, শরবতসহ আরো অনেক ধরনের খাবার। দোকানগুলোকেও সাজিয়ে তোলা হয়েছে নজরকাড়াভাবে।
প্রতিদিন বিকেল ৫টা থেকে শুরু হয় এখানে ডিম বিক্রি; চলে রাত ১২-১টা পর্যন্ত। নানা আইটেমে এখানে ডিম বিক্রি হয়। সিদ্ধ, নরমাল ভাজি ও ঘোটা ডিম। তবে সবচেয়ে বেশি বিক্রি হয় ঘোটা ডিম। এখানে যারা খেতে আসেন, তারা যাওয়ার সময় পরিবার-পরিজনদের জন্যও নিয়ে যান।
বিক্রেতা মো. ফারুক ফারাজী প্রতিদিন প্রায় ৩০০ থেকে ৫০০ ডিম বিক্রি করেন। বললেন, শীতকালে ডিম খাওয়ার চাহিদা বেশি থাকে, ডিম বিক্রি করতে করতে হাত ব্যথা হয়ে যায়। বিকেল থেকেই ডিম ঘোটা খাওয়ার জন্য সিরিয়াল পড়ে যায়, বয়স বাড়ছে এখন অনেক কষ্ট হয়।
হাঁসের ডিম ২৫ টাকা, দেশি মুরগির ডিম ২৫ টাকা আর ফার্মের মুরগির ডিম ২০ টাকায় বিক্রি হয়। চার ঘণ্টার এ সময়ে তাদের আয় দুই থেকে তিন হাজার টাকা। দিনের বাকি সময়টা তাদের কেটে যায় ডিম পরিষ্কারসহ মসলা তৈরির পেছনে। ডিম বিক্রি করেই তাদের সংসার চলে।