
এই সময়ে শরীরের তাপমাত্রা একটু বেড়ে গেলেই মনের মধ্যে তৈরি হতে পারে শঙ্কা। এই অবস্থায় কী করবেন? হাসপাতালে ছুটবেন নাকি বাড়িতেই চিকিৎসা নেবেন? জ্বর হলেই হাসপাতালে ছোটার দরকার নেই। কিছু নিয়ম মেনে ঘরে বসেই স্বাভাবিক জ্বরের চিকিৎসা নিতে পারেন।
প্রথমেই হাসপাতালে না গিয়ে টেলিমেডিসিন সেবা গ্রহণ করুন। এতে সংক্রমণের ঝুঁকি কমবে, আপনিও নিরাপদ থাকবেন।
একজন সুস্থ মানুষের দেহে সাধারণত ৯৮.৬ ডিগ্রি ফারেনহাইট তাপমাত্রার পর থেকে জ্বর হিসেবে ধরা হয়। তাপমাত্রা ৯৮.৬ থেকে ১০০ ডিগ্রি ফারেনহাইট বা তার বেশি হলে প্রাথমিক অবস্থায় প্যারাসিটামল জাতীয় ওষুধ খাওয়া যেতে পারে। রোগীর অবস্থার বর্ণনার ওপর চিকিৎসক ওষুধের মাত্রা নির্ধারণ করবেন।
এ সময় নিয়মিত চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ রাখুন। সর্দি বা নাক দিয়ে পানি পড়লে ফেক্সোফেনাডিন বা সেটিরিজিন জাতীয় ওষুধ খেতে পারেন। তবে চিকিৎসকের পরামর্শ মতো ওষুধ গ্রহণ করা গুরুত্বপূর্ণ।
পর্যাপ্ত পানি এবং ভিটামিন সি জাতীয় খাবার গ্রহণ করুন। সাধারণ সময় অপেক্ষা জ্বরের কারণে শরীরের পানির চাহিদা শতকরা ৫-৭ ভাগ বেড়ে যায়।
মানসিকভাবে নিজেকে প্রস্তুত করুন। মনে রাখতে হবে আমাদের মানসিক শক্তি রোগ প্রতিরোধ করতে বড় ভূমিকা রাখে। শরীরে বৃদ্ধি করে ইমিউনিটি পাওয়ার।
চিকিৎসককে সঠিক তথ্য দিয়ে আপনার রোগ নির্ণয়ে সহায়তা করুন। যেহেতু তিনি সরাসরি আপনাকে দেখছেন না, তাই এই বিষয়টি খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
ঘন ঘন সাবান ও পানি দিয়ে ভালো করে হাত ধুতে হবে, অপরিষ্কার হাতে চোখ, নাক ও মুখ স্পর্শ করা থেকে বিরত থাকতে হবে।
যতোটা সম্ভব ঘরে থাকতে হবে, প্রয়োজন ছাড়া বাড়ির বাইরে না যাওয়া ও জনসমাগম এড়িয়ে চলতে হবে।