প্রেমের সম্পর্ক টিকিয়ে রাখার ‘ফর্মুলা’ কী?

লাইফস্টাইল ডেস্ক
প্রকাশ: ০১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১১:২৭

প্রতীকী ছবি
প্রেম নতুন হোক বা পুরোনো, সম্পর্কের চাকা মসৃণভাবে চালাতে কাজে আসতে পারে প্রাচীন ফর্মুলাই। অনেকেই বলেন, আগেকার দিনে সম্পর্ক একবার জুড়লে সহজে ভাঙত না। ঝগড়া-অশান্তির পরও মনের বাঁধন অটুটই থাকত। আর এখন নিত্যনতুন প্রেমের জোয়ারে ভাসে মন। সামান্য কথা-কাটাকাটি, মনোমালিন্যতেই ইতি পড়ে যায় সম্পর্কে। বিচ্ছেদের সিদ্ধান্ত নিতে দেরি হয় না। কাউন্সিলের বাতলে দেওয়া হাজার রকম নিদান মেনেও ভাঙা মন আর জোড়া লাগে না। তাহলে প্রেমের সম্পর্ক টিকিয়ে রাখার সেই প্রাচীন ‘ফর্মুলা’ কী? এমন কিছু অভ্যাস আছে, যা মেনে চললে সম্পর্ক দীর্ঘস্থায়ী হতে পারে।
১. সম্পর্ককে সময় দেওয়া জরুরি। সঙ্গীর সঙ্গে সময় কাটানোই সম্পর্ক টিকিয়ে রাখার সবচেয়ে ভালো পন্থা। সেই সময় নিজের সমস্যা, পেশাগত জটিলতার কথা নয়, শুধুই ভালোবাসার কথা বলুন।
২. সঙ্গীকে আলাদা করেই গুরুত্ব দিন। বোঝান যে পাশেই আছেন। যদি দূরে যেতে হয়, তাহলেও প্রতিদিন বোঝাতে হবে তার কথা ভাবেন, তার প্রতিটি সমস্যায় পাশেই থাকবেন।
৩. সম্পর্কে কোনো জড়তা রাখবেন না। সম্পর্ক সহজ করে তুলতে কোনো কিছু চেপে না রেখে মন খুলে বলে দিন। সঙ্গীর কোনো আচরণ খারাপ লাগলে, তা সরাসরিই বলুন।
৪. ভালোবাসার মানুষটিকে বারবার বলুন ভালোবাসার কথা। ভালো সম্পর্কের জন্য শুধু ভালোবাসাই যথেষ্ট নয়, প্রয়োজন তার প্রকাশেরও।
৫. কথা দিয়ে কথা না রাখার অভ্যাসে বিদ্বেষ বাড়তে থাকে। সম্পর্কেও তার প্রভাব পড়ে। দেখা করবেন বলে দেখা দিলেন না, কিংবা ফোন করার কথা বেমালুম ভুলে গেলেন, দীর্ঘদিন এমন চলতে থাকলে সমস্যা বাড়বেই, কমবে না।
৬. সব সময়ে একে অপরের সঙ্গে মতের মিল হবে না। মতান্তর থাকবেই। এমন অনেক বিষয় থাকবে, যা হয়তো পছন্দ হবে না। পারস্পরিক বোঝাপড়ায় তার সমাধান করতে হবে।
৭. খারাপ সময়ে মানসিক ভরসা দিন। সম্পর্ক ভালো রাখতে মানবিক স্পর্শ জরুরি।
৮. ছোট ছোট বিষয়েও সঙ্গীকে সাহায্য করুন। কাজ বা দায়িত্ব চাপিয়ে দেওয়া নয়, বরং ভাগ করে নিন। তা হলে একে অপরের প্রতি সম্মান থাকবে।
৯. সঙ্গীর মন বোঝার চেষ্টা করুন। বাইরের চাকচিক্য সাময়িক। অন্যের সঙ্গে তুলনা না করে ভালো দিকগুলোকেই বুঝতে হবে। নিজের মতো করে সঙ্গীকে বদলানোর চেষ্টা সম্পর্কে তিক্ততা আনতে পারে। বরং তাকে তার মতো করেই বোঝার চেষ্টা করুন। এতে পরস্পরের প্রতি বিশ্বাস ও ভরসার জায়গা তৈরি হবে।