
প্রতীকী ছবি
সম্পর্ক গড়তেও বেশি সময় লাগে না, আবার ভাঙতেও সময় লাগে না। কিন্তু সম্পর্ক সফল করতে বেশ সময় লাগে। এ জন্য দুজনকেই প্রচুর সময় দিতে হয়, অর্জন করতে হয় আস্থা ও বিশ্বাস। তবে ঝগড়া, গালি দেওয়া, মিথ্যা বলা, ঠকানো- এগুলো সম্পর্ক নষ্ট করার ক্ষেত্রে যথেষ্ট। এসব ছাড়াও কিছু বিষয় থাকে, যেগুলো সম্পর্কে বাজে প্রভাব ফেলে।
আগ্রহের বিষয়ে গুরুত্ব না দেওয়া: একজনের একটা বিষয় ভালো লাগলে আরেকজনের সেটা ভালো নাও লাগতে পারে। এ নিয়ে জোরাজুরির কিছু নেই। তবে সঙ্গীর আগ্রহকে অবহেলা করলে সম্পর্কে বাজে প্রভাব পড়বেই। এ বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের পারিবারিক পরামর্শক অ্যাবিগেইল মেইকপিস এক প্রতিবেদনে বলেন, ‘পছন্দের গান তার সঙ্গী শোনাতে চাইল, কিন্তু তখন সেটা শুনতে চাইলেন না বা কাজ আছে পরে শুনবেন বলে এড়িয়ে গেলেন। এই ধরনের ব্যবহার সঙ্গীর মনে বাজে প্রভাব ফেলে। এ ক্ষেত্রে গানটা উপভোগ করতে হবে না। বরং কিছু সময়ের জন্য শুনে নিজের অভিব্যক্তি প্রকাশ করলেই বরং সঙ্গীকে সঙ্গ দেওয়া হবে।’
ধন্যবাদ না দেওয়া: বিশেষ দিনে হয়তো উপহার দিচ্ছেন, বাইরে খাওয়াতে নিয়ে যাচ্ছেন; তবে নিত্যদিনের অনেক কাজ সঙ্গী করে যাচ্ছে সেগুলোর ব্যাপারে কিছু বলা হচ্ছে না। এ বিষয়ে নর্থ ক্যালিফোর্নিয়ার মনোবিজ্ঞানী নিকোল সানডার্স বলেন, ‘ভালো সম্পর্ক বড় কোনো বিষয়ের ওপর নয়, বরং নিত্যদিনের ছোট ছোট ঘটনার মধ্য দিয়ে বেড়ে ওঠে।’ তাই রান্না করে খাওয়ানো কিংবা কোনো জিনিস হাতের কাছে এনে দেওয়ার মতো ঘটনায় সঙ্গীকে ধন্যবাদ দিতে ভুলবেন না।
সমালোচনা করা: দম্পতিবিষয়ক মার্কিন পরামর্শক জ্যাক ব্রিটেল বলেন, সম্পর্কে সমালোচনা হলো অভিযোগ করা। তখন আর সুস্থ সম্পর্ক বজায় থাকবে না। সঙ্গীর সমালোচনা না করে নির্দিষ্ট বিষয়ে জানতে চাওয়া বা অনুরোধ করা হলো ভালো সম্পর্কের ভিত্তি। আর সেটা বিরক্ত হয়ে নয়, বরং ইতিবাচক মনোভাব নিয়ে করতে হবে।
সম্পর্কের বাইরে অন্য কোনো জীবন নেই: যেকোনো সম্পর্কের শুরুতে দুজন দুজনকে ছাড়া থাকতে না পারাকে বলা হচ্ছে ‘হানিমুন পিরিয়ড’। তবে কিছুদিন পরও যদি বন্ধু, পরিবার সব বাদ দিয়ে শুধু সঙ্গীর দিকেই নজর থাকে তখন সম্পর্কে এক ধরনের চাপ তৈরি হয়।
অনুমতি ছাড়া সঙ্গীর ফোন দেখা : অনুমতি ছাড়া সঙ্গীর মোবাইল নিয়ে ফেসবুকে ঢু দেওয়ার মানে হলো তার ব্যক্তিগত গণ্ডিলঙ্ঘন করা। সেই সঙ্গে প্রমাণ হয় সঙ্গীর ওপর অনাস্থা। এখানে সন্দেহ বা অসততার কোনো বিষয় নয়, প্রত্যেক সম্পর্কের মধ্যেই ব্যক্তিগত বিষয় থাকে। যেমনÑসঙ্গীর বন্ধুদের সঙ্গে ‘চ্যাট গ্রুপ’য়ের কথাবার্তা পড়ার বা জানতে চাওয়ার কোনো মানে নেই।
প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করা: যেকোনো সম্পর্কে কথা দিয়ে কথা রাখা হলো বিশ্বাসের ভিত্তি। আর রোমান্টিক সম্পর্কে এটা বেশি জরুরি। তবে বেশির ভাগ সময় অভ্যাসমতো কথা দেওয়া আর সেটা রাখতে না পারলে সম্পর্কের ভিত্তিতে চিড় ধরতে বাধ্য।