
ফাইল ছবি
স্বাস্থ্যকর জীবনযাপনের মাধ্যমে বাড়ে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা। এ জন্য অবশ্যই নিয়মিত শরীরচর্চা করতে হবে। নিয়মিত শরীরচর্চা করলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে, সংক্রমণের আশঙ্কা কমে। অন্তত এক দিন পর পর আধঘণ্টা করে সময় দিতেই হবে শরীরচর্চার পেছনে। কার্ডিওভাসকুলার এক্সারসাইজ- হাঁটা, সাইক্লিং, সাঁতার কাটা, নাচ- শরীরচর্চার রুটিনে এগুলো থাকা প্রয়োজন। আর প্রয়োজন শরীরচর্চা ও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা নিয়ে যে ভুল ধারণা মানুষের মনে রয়েছে, সেগুলো ভেঙে দেওয়া। যেমন-
ওজন তাড়াতাড়ি কমা মানেই রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়া
তাড়াতাড়ি ওজন কমে তখনই, যখন অতিরিক্ত ডায়েটিং এবং ব্যায়াম করেন কেউ। এর ফলে অনেক সময়ই পর্যাপ্ত পুষ্টি পায় না শরীর। অতিরিক্ত স্ট্রেস পড়ে এবং সব মিলিয়ে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যাওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়। বেশি ওজন ক্ষতিকর নিঃসন্দেহে। কিন্তু ওজন কমানোর প্রক্রিয়া সঠিক হওয়া দরকার। ডায়েট ও ব্যায়াম, দুটিই ব্যালান্সড হওয়া উচিত।
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে কঠোর ব্যায়াম দরকার
একদমই নয়, শরীরচর্চা শুরু করতে হবে ধীরে ধীরে, ধাপে ধাপে। যাতে ব্যায়ামের সঙ্গে মানিয়ে নেওয়ার সুযোগ পায় শরীর। তাহলেই শরীরচর্চার ইতিবাচক প্রভাব পড়বে ইমিউন সিস্টেমের উপর। হঠাৎ খুব ইনটেন্স এক্সারসাইজ শুরু করলে ইমিউন সিস্টেমের ক্ষতিই হতে পারে বরং।
বাড়ির কাজকর্ম করেই শরীরচর্চা হয়ে যাচ্ছে
অনেককেই একা হাতে বাড়ির সব কাজ সামলাতে হয়। কেউ কেউ হয়তো ভাবছেন, এতেই যথেষ্ট শরীরচর্চা হচ্ছে এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও বাড়ছে। তা কিন্তু নয়। আধঘণ্টার কার্ডিওভাসকুলার এক্সারসাইজ আবশ্যক। তার মধ্যে থাকতে পারে হাঁটা, নাচ, সাইক্লিং, স্কিপিং সবই। বরং বাড়ির কাজ করতে গিয়ে পিঠ-কোমর-হাঁটুতে ব্যথা হলে কার্ডিওভাসকুলার এক্সারসাইজ তা কমাতে সাহায্য করতে পারে।
সরঞ্জাম ছাড়া শরীরচর্চা হয় না
সময়ের অভাবে জিমে যেতে পারছি না, বাড়িতে সরঞ্জাম নেই, তাই শরীরচর্চাও করতে পারছি না। ব্যায়াম করার ইচ্ছা থাকলে সাংসারিক জিনিসপত্রই সরঞ্জাম হয়ে উঠতে পারে। হালকা ডাম্বেলের বদলে ব্যবহার করতে পারেন ছোট পানির বোতল। গিঁট বাঁধা ওড়না, স্কার্ফ বা শাল দিয়ে বানিয়ে নিতে পারেন থেরাব্যান্ড বা রেজিস্ট্যান্স ব্যান্ড। ফ্লোরম্যাটের বদলি হতে পারে তোয়ালে। দেওয়ালের বিপরীতেও অনেক রকমের ব্যায়াম করা যেতে পারে। কোনো সরঞ্জাম ছাড়াই করতে পারেন স্কোয়াট, প্লাঙ্ক, লাঞ্জেস, পুশ-আপস। যোগ ব্যায়ামও করতে পারেন।