
প্রতীকী ছবি
শারদীয় পূজার দিনগুলোতে সকাল থেকে রাত পর্যন্ত সাজগোজ আর উৎসবের ব্যস্ততা চলে টানা কয়েক দিন। এই দীর্ঘ সময়ের চাপ ত্বকে ক্লান্তি, রুক্ষতা কিংবা ব্রণের মতো সমস্যা ডেকে আনতে পারে। তাই সাজসজ্জার আগেই ত্বককে তৈরি করে নেওয়া জরুরি। পূজার অন্তত এক সপ্তাহ আগে থেকে শুরু করলে টানা চার-পাঁচ দিন সহজেই উজ্জ্বল আর সতেজ রাখা সম্ভব।
ভেতর থেকে বাইরের যত্ন : ত্বকের আসল যত্ন শুরু হয় ভেতর থেকে। পূজার আগে বাড়তি মসলাদার বা ভাজাপোড়া খাবার কমিয়ে হালকা, ভিটামিন-সমৃদ্ধ খাবার খাওয়া দরকার। প্রচুর পানি পান ত্বককে হাইড্রেটেড রাখে, ফলে ত্বকে মেকআপও সুন্দর বসে।
ক্লিনজিং ও এক্সফোলিয়েশন : প্রতিদিন বাইরে বেরোনোর ফলে ধুলাবালি আর ঘাম জমে যায়, যা ত্বককে নিস্তেজ করে তোলে। এ জন্য নিয়মিত ক্লিনজিং করা জরুরি। সপ্তাহে অন্তত দুই দিন হালকা এক্সফোলিয়েশন করলে মৃত কোষ দূর হয় এবং ত্বক নতুন করে শ্বাস নিতে পারে। তবে বেশি ঘষামাজা নয়, বরং মৃদু স্ক্রাবই যথেষ্ট।
হাইড্রেশন ও মাস্ক : টানা মেকআপে ত্বক শুষ্ক হয়ে যেতে পারে। তাই প্রতিদিন রাতে ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার অপরিহার্য। পূজার আগে সপ্তাহে দু-তিন দিন হাইড্রেটিং ফেস মাস্ক ব্যবহার করলে ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়বে। প্রাকৃতিক উপায়েও করা যায়-মধু, শসা বা অ্যালোভেরার প্যাক এ সময় বিশেষ কার্যকর।
ঘুম ও বিশ্রাম : পূজার কেনাকাটা আর প্রস্তুতির ভিড়ে ঘুম কমে গেলে তা সরাসরি ত্বকে প্রভাব ফেলে। ডার্ক সার্কেল, নিস্তেজ ভাব কিংবা ব্রণ-এগুলো ঘুমের অভাবের ফল। তাই অন্তত সাত-আট ঘণ্টা ঘুম নিশ্চির্ত করা জরুরি। রাতে হালকা অয়েল ম্যাসাজ করলে রিল্যাক্সেশনের পাশাপাশি রক্ত সঞ্চালন বাড়ে, যা ত্বককে ভেতর থেকে সতেজ করে।
চুলের যত্ন : পূজার সাজে চুলও সমান গুরুত্বপূর্ণ। টানা সাজে হেয়ারস্প্রে বা হিট টুল ব্যবহার করলে চুল দুর্বল হয়ে যেতে পারে। তাই পূজার আগে নিয়মিত তেল দিয়ে ম্যাসাজ আর হার্বাল প্যাক ব্যবহার করলে চুল থাকে প্রাণবন্ত। শ্যাম্পুর পর কন্ডিশনার ব্যবহার করাও প্রয়োজন।
পূজার সাজগোজ তাই শুধু পোশাক বা মেকআপ নয়, বরং সুস্থ ও প্রস্তুত ত্বকের ওপর নির্ভর করে। কয়েক দিন আগে থেকে নিয়মিত যত্ন নিলে পূজার দিনগুলোতে সাজ দীর্ঘস্থায়ী হয়, আর মুখে থাকে প্রাকৃতিক উজ্জ্বলতা।