
ডায়াবেটিসসহ বহু রোগে করলা ও এর জুসের ব্যবহার। ছবি: সংগৃহীত
করলার পুষ্টিগুণ অনেক। এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন এ, সি, অ্যান্টি- অক্সিডেন্ট, লৌহ ও ফাইবার । যা সাধারণত বার্ধক্য ঠেকিয়ে রাখতে সহায়তা করে থাকে। প্রতি ১০০ গ্রাম করলায় আছে জলীয় অংশ ৯২.২ গ্রাম, শর্করা ৪.৩ গ্রাম, আমিষ ২.৫ গ্রাম, ক্যালসিয়াম ১৪ মিলিগ্রাম, আয়রন ১.৮ মিলিগ্রাম, ভিটামিন বি১- ০.০৪ মিলিগ্রাম, ভিটামিন বি২- ০.০২ মিলিগ্রাম, ক্যারোটিন ১৪৫০ মাইক্রোগ্রাম ও খাদ্যশক্তি ২৮ ক্যালরি।
জেনে নিন নিয়মিত কেন করলা খাবেন তা সম্পর্কে:
১. রক্তের গ্লুকোজের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে করলায় থাকা অ্যান্টিডায়াবেটিক উপাদান। প্রতিদিন করলার রস পান করলে রক্তে শর্করার পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে থাকে। ফলে টাইপ ২ ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কমে।
২. উচ্চ রক্তচাপের ঝুঁকি কমায় করলা। নিয়মিত করলা খেলে রক্তে এলডিএল বা খারাপ কোলেস্টরলের মাত্রা কমে। করলায় রয়েছে প্রচুর আয়রন ও ফলিক অ্যাসিড। এই দুটি উপাদান কোলেস্টেরলের মাত্রা কমানোর পাশাপাশি শরীরের লবণের মাত্রাকে নিয়ন্ত্রণে রাখে।
৩. করলা রক্তের ট্রাইগ্লিসারাইড কমায় এবং ভালো কোলেস্টেরল এইচডিএল বাড়ায়। এর ফলে রক্তনালিতে চর্বি জমতে পারেনা এবং হার্ট অ্যাটাকের প্রবণতা কমে যায়।
৪. অতিরিক্ত মেদ দূর করতে সাহায্য করে করলা।
৫. করলায় থাকা পুষ্টি উপাদান লিভার ভালো রাখতে সহায়তা করে। নিয়মিত করলা খেলে লিভার, স্তন ও কোলন ক্যানসারের ঝুঁকি কমে।
৬. করলায় থাকা অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট উপাদান ও ভিটামিন সি শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। অ্যালার্জি এবং সংক্রমণের প্রকোপ কমাতেও সাহায্য করে এটি।
৭. করলার হজমের জন্য উপকারী। কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে এর ভূমিকা রয়েছে। পরিপাকতন্ত্রের জটিলতা দূর করতে নিয়মিত করলা খেতে পারেন।
৮. পানির সঙ্গে মধু ও করলার রস মিশিয়ে খেলে অ্যাজমা, ব্রংকাইটিস ও গলার প্রদাহে উপকার পাওয়া যায়।
৯. করলা রক্তের দূষিত উপাদান দূর করে রক্তকে বিশুদ্ধ করে। তাই নিয়মিত করলা খেলে রক্তের দূষিত উপাদান দূর হয় এবং এলার্জি জনিত সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।