
মডেল: মারিয়া সালাম।
আশা করি সবাই নিরাপদ এবং সুস্থ আছেন। ইতিমধ্যে আমরা স্বাস্থ্যবিধি মেনে অফিস করছি। গণপরিবহন ব্যবহার করছি। তাই সবাইকে অনেক মানুষের কাছাকাছি যেতে হচ্ছে। কার মধ্যে করোনাভাইরাস আছে কেউ জানি না। তাই নিজে এবং পরিবারের সবাইকে সুস্থ রাখতে সাধারণ নাগরিক হিসেবে আমাদের সবসময় সচেতন থাকতে হবে।
বাসার বাইরে যাওয়ার প্রয়োজন হলে ব্যক্তিগত সুরক্ষা শতভাগ নিশ্চিত করে বের হতে হবে। প্রত্যেকে বিশেষ প্রয়োজনে বাইরে যাওয়ার সময় নিজ নিজ মাস্ক, পিপিই, গগলস, হ্যান্ডগ্লাভস, জুতা ইত্যাদি সুরক্ষা গ্রহণ করে তবেই বের হবেন। সঙ্গে অবশ্যই হ্যান্ড স্যানিটাইজার, টিস্যুপেপার, লিকুইড সোপ ইত্যাদি রাখবেন। সম্ভব হলে বাইরে গেলে মাথার চুলও ঢেকে রাখার চেষ্টা করবেন।
ব্যক্তিগত স্বাস্থ্য সুরক্ষার বিষয়ে বাসা থেকে বের হওয়ার পর থেকে প্রতিটি জায়গায় আমাদের সাবধান থাকতে হবে। দরজা, দরজার হাতল, লিফটের বাটন, সিঁড়ির রেলিং এগুলো থেকে সংক্রমণ হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। তাই এগুলোর কোনো কিছুতে হাত দিলে অবশ্যই হাত ধুতে হবে। যানবাহনে, লিফটে এবং অফিসে যতটা সম্ভব দূরত্ব রেখে দাঁড়ানো, বসতে হবে। কোথাও খেতে গেলেও মানতে হবে এই দূরত্ব। কমপক্ষে ৩০ মিনিট পরপর সাবান দিয়ে হাত ধুবেন বা স্যানিটাইজার দিয়ে হাত পরিষ্কার করবেন। ভুলেও হাত পরিষ্কার না করে মুখে, চোখে, কানে হাত দেবেন না।
অপরিচিত মানুষকে কাছে ঘেঁষতে দেবেন না, আপনিও কাছে যাবেন না। অফিসেও সহকর্মীদের থেকে তিন ফুট দূরত্ব বজায় রাখবেন।
হাত দিয়ে টাকা ধরার পরপরই হাত পরিষ্কার করবেন। অফিস বা বাহির থেকে বাসায় ফিরে নিজেই নিজের জামা-কাপড় ধুয়ে গোসল করে নেবেন। অন্যরা জরুরি প্রয়োজন ছাড়া বাসায় থাকুন। এতে যারা কাজে যাবেন তারা অন্তত কম ঝুঁকিতে পড়বেন। নিজের রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতাকে বাড়াতে প্রতিদিন নিয়মিত অবশ্যই ঘরে অল্প তেলে রান্না করা খাবার খেতে হবে। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে প্রোটিন জাতীয় খাবার, ভিটামিন ডি এবং সি আছে এমন খাবারগুলো খেতে পারেন প্রতিদিন।
দৈনিক প্রচুর পানি, বিশেষ করে কুসুম গরম পানি ঘনঘন পান করতে হবে। যাতে আপনার গলা এবং মুখের ভেতরের যেসব অংশে ভাইরাস থাকার সম্ভাবনা বেশি, সেসব অংশ থেকে পানি পানের মাধ্যমে ভাইরাস চলে যায়।