
করোনার এই কালে আমাদের বেশিরভাগ সময় বাসাতেই কাটাতে হচ্ছে। এই সময়টাতে অন্যান্য কাজের ফাঁকে ঘরের বারান্দায় করতে পারেন শখের বাগান। এটি তেমন কঠিন কিছু না, নিয়মিত পরিচর্যা করলেই বারান্দা হয়ে উঠবে সুন্দর বাগান।
গাছ নির্বাচন: নার্সারিতে নানারকম গাছ কিনতে পাওয়া যায়। পছন্দের গাছ কিনে এনে অনায়াসে বারান্দা সাজিয়ে ফেলুন।
নানান রকমের ফুলের গাছ লাগানো যায়। যেমন জুঁই, অর্কিড, বেলি, গোলাপ, টগর, দোলনচাঁপা ইত্যাদি শখের বাগানটিতে শোভা বাড়াবে।
বাছাই করুন টব: বাজারে এখন বাহারি টব পাওয়া যায়। রঙিন পাথর দিয়ে টব সাজাতে পারেন। মাটির টবে পছন্দমতো আল্পনা এঁকে নিতে পারেন। গ্রিলের সঙ্গে ঝুলিয়ে রাখা গাছগুলোর জন্য মাটির তৈরি সুন্দর ডিজাইনের টব বেছে নিতে পারেন। পাটের দড়ির সঙ্গে ঝুলিয়ে রাখলে বেশ ভালো দেখাবে।
প্রতিদিন গাছে পানি দিন: বৃষ্টি ছাড়াও অন্যান্য সময় প্রতিদিন গাছে পানি দিতে হবে। টবে পানি জমে থাকলে নতুন করে পানি দেয়ার দরকার নেই। বৃষ্টি হলে গাছে পানি দেওয়া যাবে না। তবে মাটি যেন খুব শুষ্ক কিংবা একেবারে ভেজা না থাকে।
অল্প পরিমাণে সার দিন: বারান্দার গাছেও মাঝে মাঝে অল্প পরিমাণে সার দিতে হয়। জৈব সার মাসে অন্তত একবার দিতে পারেন। ঘরেও জৈব সার বানানো যায়। তরকারির খোসা ছোট করে কেটে গাছের গোড়ায় ছিটিয়ে দিতে পারেন।
এ ছাড়া ব্যবহৃত টি-ব্যাগ থেকে চা পাতা বের করে গাছের গোড়ায় দিতে পারেন। কেনার চেয়ে বাসায় বানানো সার গাছের জন্য বেশি উপকারী।
আলো-বাতাস: গাছের জন্য প্রাকৃতিক আলো-বাতাস খুবই উপকারি। খোলামেলা জায়গায় থাকলে গাছ ভালোভাবে বেড়ে ওঠে।
কীটনাশক: পাতাজাতীয় গাছে সাধারণত পোকামাকড় লাগার সম্ভাবনা বেশি থাকে। এ ছাড়া রোগ-জীবাণুর আক্রমণেও পাতা কুঁকড়ে যেতে পারে।
এরকম কোনো সমস্যা দেখা দিলে গাছে স্প্রে করতে হবে। তবে কোন সমস্যার জন্য কী ধরনের স্প্রে লাগবে, তা কেনার সময় দেখে নিতে হবে।
আগাছা কাটুন: আগাছা গাছের শত্রু। আগাছা পরিষ্কার করতে তেমন সময় লাগে না। শুধু একটু ধৈর্য নিয়ে করলেই হয়ে যাবে।
সুন্দর থাকুক টব: টবের গায়ে লেগে থাকা মাটি মাঝে মাঝেই পরিষ্কার করা উচিত। অন্যান্য সময় কাজের ব্যস্ততায় এরকম ছোটখাটো বিষয় হয়ত খেয়াল থাকে না। তবে এখন সেসব করতে পারবেন নিশ্চয়ই।