
বিভিন্ন কারণে নারীদের শরীরে ফাটা দাগ পড়ে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য একটি হলো গর্ভাবস্থা। এসময় হরমোনাল পরিবর্তন হয়। ওজন বৃদ্ধি পায়। তবে কিছু প্রাকৃতিক উপায়ে তা দূর করা যায়।
যেভাবে পেটসহ শরীরের বিভিন্ন অংশের ফাটা দাগ দূর করবেন তা তুলে ধরা হলো:
ঘৃতকুমারী বা অ্যালোভেরা
ঘৃতকুমারীর জেল পেটের ফাটা দাগ দূর করতে সহায়তা করে। এর ব্যবহারে ঘরোয়াভাবে কোনো খরচ ছাড়া ফাটা দাগ দূর করা যায়। এটি ত্বকের দাগ দূর করে, ত্বক মসৃণ ও সতেজ রাখে।
প্রথমে ঘৃতকুমারীর পাতা থেকে জেল ছাড়িয়ে নিন। তারপর ঘৃতকুমারীর জেল দিয়ে পেটের ফাটা দাগে কয়েক মিনিট ম্যাসাজ করুন। প্রতিদিন দুইবার ব্যবহারে ভালো ফল পাওয়া যায়।
ডিমের সাদা অংশ
ডিম পুষ্টিকর খাবার। ডিমের সাদা অংশ রূপচর্চায় ও চুলচর্চায় ব্যবহৃত হয়। ডিমের সাদা অংশ ত্বকের দৃঢ়তা বাড়ায়, ত্বক সুন্দর ও মসৃণ করে। ফাটা দাগ দূর করার জন্য এক-দুইটি ডিমের সাদা অংশ নিতে হবে। প্রথমে ডিমের সাদা অংশ ভালো করে নেড়ে নিন। তারপর ব্রাশের মাধ্যমে আক্রান্ত স্থানে ব্যবহার করুন। শুকানোর আগ পর্যন্ত অপেক্ষা করুন এবং পুরোপুরি শুকিয়ে গেলে ধুয়ে ফেলুন। ভালো ফল পেতে প্রতিদিন একবার ব্যবহার করুন।
বেকিং সোডা ও লেবুর রস
বেকিং সোডা ও লেবুর রসের মিশেলে ত্বকের যেকোনো দাগ, পেটের ফাটা দাগ দূর করা যায়। বেকিং সোডা প্রাকৃতিক এক্সফোলিয়েটর। এটি ত্বকের মৃত কোষ দূর করতে সহায়তা করে এবং ত্বকের সুস্থতায় ভূমিকা রাখে।
প্রথমে অল্প পরিমাণে বেকিং সোডার সাথে লেবুর রস মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করুন। তারপর পেস্টটি আক্রান্ত স্থানে লাগান। শুকানোর পূর্ব পর্যন্ত অপেক্ষা করুন এবং শুকিয়ে গেলে ধুয়ে ফেলুন।
প্রাকৃতিক তেলের ব্যবহার
প্রাকৃতিক বিভিন্ন তেল ব্যবহার করে পেটের ফাটা দাগ দূর করা যায়। প্রাকৃতিক তেলে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট রয়েছে, রয়েছে ত্বক সুস্থ করার নিয়ামক।
প্রাকৃতিক তেলের মধ্যে রয়েছে নারকেল তেল, ক্যাস্টার অয়েল, জোজোবা অয়েল, আমন্ড অয়েল, অর্গান অয়েল, সরিষা তেল ইত্যাদি।
প্রথমে একটি বা দুটি তেলের সমন্বয়ে মিশ্রণ তৈরি করুন। আমন্ড তেলের সাথে নারকেল তেলে মিশিয়ে অথবা ক্যাস্টার অয়েলের সাথে জোজোবা অয়েল মিশিয়ে নিতে পারেন। তারপর তা পেটে ঘসুন কিংবা কয়েক মিনিট ম্যাসাজ করুন।