
কোরবানি ঈদে বড় একটা ধকল যায় ফ্রিজের ওপর দিয়ে। দীর্ঘদিন ফ্রিজ পরিষ্কার না করে থাকলে ঈদের আগেই পরিষ্কার করে রাখুন এটি।
ঈদের আগে একটু সময় বের করে ফ্রিজ পরিষ্কার করে নিন। পরিষ্কার করার আগে তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণকারী নবটি বন্ধ করে রাখুন। তারপর সব খাদ্যদ্রব্য বের করুন ফ্রিজ থেকে। ফ্রিজ যদি ডি-ফ্রস্ট হয় তবে সুইচ বন্ধ করার পর বরফ গলে যাওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করুন। ফ্রিজের ট্রে, ড্রয়ার ও অন্যান্য অংশ খুলে বের করে নিন। হালকা কুসুম গরম পানিতে লিকুইড সোপ মিশিয়ে খুলে রাখা তাক, ড্রয়ারসহ ভেতরের অংশগুলো পরিষ্কার করুন। ফ্রিজের বাইরের অংশ পরিষ্কার করার জন্য ভিনেগার বা মাইল্ড ধরনের ক্লিনার ব্যবহার করতে পারেন। শেষে ঠান্ডা পানিতে সবকিছু ধুয়ে খুব ভালো করে মুছে নিন। চালু করার ১৫ মিনিট পর খাবার রাখবেন ফ্রিজে।
ফ্রিজে খাবার আলগা রাখবেন না কখনো। এতে এক খাবারের গন্ধ ছড়িয়ে পরে অন্য খাবারে। মাংস সংরক্ষণের ক্ষেত্রে চর্বি ও ময়লা ফেলে তারপর রাখুন ফ্রিজে। প্রতিদিনের জন্য আলাদা আলাদা করে ভাগ করে রাখতে পারেন মাংস। এতে ঝক্কি কমবে ও খুঁজে পেতে সহজ হবে। রান্না করার অন্তত ১৫ মিনিট আগে ডিপ ফ্রিজ থেকে মাংস বের করবেন। বারবার ফ্রিজ খোলা ও বন্ধ করা একদম ঠিক নয়। এতে বাইরের বাতাস ফ্রিজে ঢুকে খাবার নষ্ট করে দেয়, যা ফ্রিজে রাখা প্রয়োজন সব হাতের কাছে গুছিয়ে তবেই খুলবেন ফ্রিজ।
বছরে একবার ইলেকট্রিক সংযোগ বন্ধ করে ফ্রিজের পিছনে বা নিচে থাকা কয়েল পরিষ্কার করুন। নরম ব্রাশ দিয়ে পরিষ্কার করতে পারেন কয়েল।
মাঝে মাঝে দেখা যায় ফ্রিজ চালু থাকলেও খাবার ঠান্ডা হয় না। সেক্ষেত্রে প্রথমেই লক্ষ্য করুন টেম্পারেচার সুইচ প্রয়োজন মতো বাড়ানো আছে কিনা। অনেক সময় দরজায় লাগানো প্লাস্টিকের প্যাডে ফাটল ধরলেও এ সমস্যা হতে পারে। প্রয়োজনে সার্ভিসিংয়ে দিন এখনই।