
সারাবিশ্বের মতো বাংলাদেশেও গত চার মাস ধরে রয়েছে করোনার প্রভাব। বন্ধ রয়েছে বিয়ে, জন্মদিন, মেজবানসহ সব ধরনের সামাজিক অনুষ্ঠান। তবে এর মধ্যে অনেকেই ঘরোয়াভাবেই বিয়ে সম্পন্ন করছেন। এই প্রসঙ্গে লিখেছেন ইফতেখার আলম ফরহাদ।
সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে বিয়ের পর অনেককেই বিয়ের ছবি পোস্ট দিতে দেখা যাচ্ছে। খুব স্বল্প পরিসরে এসব বিয়ে সম্পন্ন হচ্ছে। এমন পিরিস্থিতিতে এখনো অনেক হবু বর কনে এবং তাদের পরিবার দ্বিধা দ্বন্দ্বে আছেন, বিয়ের অনুষ্ঠান করবেন কি করবেন না। এখনো যারা দ্বিধা দ্বন্দ্বে ভুগছেন বিয়ে নিয়ে তাদের জন্য বলব সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে সেরে ফেলতে পারেন বিয়ের পর্ব। ভাবছেন কীভাবে সম্ভব? কয়েকটি পদক্ষেপ মেনে চললেই আপনি ঘরোয়াভাবে বিয়ের পর্বটি শেষ করতে পারেন।
১. সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী সব ধরনের জমায়েত বা গণসমাবেশ নিষিদ্ধ। পুলিশের অনুমতি না নিয়ে বিয়ের অনুষ্ঠানের আয়োজন করবেন না।
২. বড় বাজেটের বিয়ে এ মুহূর্তে ভুলে যেতে হবে। খুব অল্প বাজেটে স্বাস্থ্যবিধি মেনে বিয়ের কেনাকাটা করুন।
৩. কাঁচা বাজারে কেনাকাটা করতে হলেও স্বাস্থ্যবিধি মেনে করতে হবে।
৪. বিয়ের আগে বর-কনে উভয়ের করোনা টেস্ট করিয়ে নিলে ঝুঁকি কম থাকে।
৫. পরিবারের গুরুত্বপূর্ণ কয়েকজন সদস্যকে নিয়ে এই অনুষ্ঠানটি করে ফেলতে পারেন।
৬. শারীরিক ও সামাজিক দূরত্ব ভুলে গেলে চলবে না। বিয়ের প্রথম প্রাধান্য হবে সামাজিক দূরত্ব। পুরো অনুষ্ঠানটি ৩ ফুট দূরত্ব বজায় রেখে আয়োজন করতে হবে। প্রয়োজনে ভালো কোনো ওয়েডিং প্ল্যানারের সঙ্গে কথা বলে আয়োজন করুন।
৭. হাতে হাত মেলানো, জড়িয়ে ধরা এসব এখন অতীত। ধর্মীয় রীতি অনুযায়ী সম্ভাষণ করুন। অনুষ্ঠানের আগে পুরো বাসা স্যানিটাইজ করা, আমন্ত্রিত সবাইকে মাস্ক, গ্লাভস পরা বাধ্যতামূলক করতে হবে। এ বিষয়গুলো ভুলে গেলে চলবে না।
৮. বিয়ের পোশাকের সঙ্গে ম্যাচিং করে মাস্ক ফ্যাশনের বৈচিত্র্য হতে পারে।
৯. পরিবারের দু’একজন সদস্য নিয়ে বর কনে নিজেরা কাজি অফিসে গিয়ে যদি আনুষ্ঠানিকভাবে লোক না ডেকে রেজিস্ট্রি করে নিতে পারেন তাহলে সবচে ভালো।