গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা: ওষুধে বাড়ছে করোনার ঝুঁকি

ডেস্ক প্রতিবেদন
প্রকাশ: ১৪ আগস্ট ২০২০, ১৫:২৯
-5f36595e2f831.jpg)
গ্যাস্ট্রিকের
সমস্যায় অতিরিক্ত ওষুধ খাওয়ার কারণে বাড়ছে করেনা ঝুঁকি দাবি গবেষকদের।
বিশেষজ্ঞরা
বলছেন, যত মানুষ অম্বলে
কষ্ট পান, তার মধ্যে প্রায় ৬০ শতাংশের পাকস্থলীতে
অ্যাসিডের পরিমাণ ঠিকই থাকে। কিন্তু পাকস্থলীর স্পর্শকাতরতা বেশি থাকে বলে অল্প অ্যাসিডেও পেট জ্বলে। বুক জ্বলে। ব্যথা হয়। একে বলে নন-আলসার ডিসপেপসিয়া।
এটা কোনও জটিল সমস্যা নয়। নিয়ম মানলেই রোগ নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব। ১০০ জনের মধ্যে ১৫-২০ জনের
সমস্যা সত্যিই অ্যাসিডের জন্য। বাকি ২০ শতাংশ মানুষের
ক্ষেত্রে কষ্টের কারণ বিভিন্ন অসুখ-বিসুখ, ব্যথার ওষুধ, সিগারেট বা মদ।
এছাড়া অতিরিক্ত
ওষুধের কারণে উপকারি জীবাণু
ধ্বংস হলে বাড়ে কোভিডের আশঙ্কাও।
'আমেরিকান
জার্নাল অফ গ্যাসট্রোএন্টেরোলজি'-তে প্রকাশিত
প্রবন্ধে সিডার্স সিনাই মেডিক্যাল সেন্টারের চিকিৎসাবিজ্ঞানী ব্রেনান স্পিগেল জানিয়েছেন, যারা নিয়মিত গ্যাস্ট্রিকের ওষুধ খান তাদের ২.৫-৩.৭ গুণ বেশি
আশঙ্কা কোভিড হওয়ার। ৮৬,০০০ জন
মানুষের উপর সমীক্ষা করে এই সিদ্ধান্তে পৌঁছেছেন
তিনি। ২০০২-২০০৩ সালে সার্স মহামারির সময়ও একই ছবি চোখে পড়েছিল। যারা পিপিআই খেতেন তাদের মধ্যে সার্স সংক্রমণের হার ছিল অনেক বেশি। অর্থাৎ যে করেই হোক,
কোভিডের মরসুমে পিপিআই খাওয়ার অভ্যাস ত্যাগ করতে হবে।
অম্বল
কমাতে জীবনযাপনের নিয়ম
• “অম্বলের
বাড়-বৃদ্ধির মূলে কিছু খাবারের হাত আছে বলে জানান ভারতীয় পুষ্টিবিদ প্রিয়ঙ্কা মিশ্র। তিনি বলেন, “সবার সব খাবারে গ্যাস্ট্রিক
হয় না। যার যেটাতে হয়, সেটা বর্জন করে চলা উচিত। যেমন, মিষ্টি ও ফ্যাটসমৃদ্ধ খাবার,
দুধ, টক ফল, কফি,
শুকনো লঙ্কা, গোলমরিচ, খুব ঠান্ডা বা খুব গরম
খাবার, ঘন্টায় ঘণ্টায় এটা সেটা খাওয়ার অভ্যাস, ধূমপান, মদ্যপান। খালি পেটে মদ্যপান করলে সমস্যা বাড়ে। খালিপেটে চা খেলেও অনেকের
সমস্যা হয়। কারও দুধ-চায়ে সমস্যা হয়। কারও হয় লেবু-চায়ে।”
যা
মনে রাখতে হবে এই কোভিডকালীন
• খাওয়া ও ঘুমের সময়
মোটামুটি ঠিক রাখা উচিত।
• নিয়মিত ব্যায়াম করলে সমস্যা কম থাকে।
• কিছু ওষুধে সমস্যা বাড়ে কারও।
• মানসিক চাপ বাড়লে অম্বল বাড়তে পারে। কাজেই এদিকেও নজর দেওয়া দরকার।
• নিয়মে সমস্যা না মিটলে ডাক্তার
দেখাতে হবে। বিশেষ করে যদি কারও খিদে কমে যায়, ওজন কমতে থাকে, খাবার গলায় আটকে যাচ্ছে বলে মনে হয়, রক্তাল্পতা হয়, রক্তবমি বা ব্ল্যাক স্টুল
হয়।
অম্বল
হলে প্রথমে খাওয়া-ঘুমের নিয়ম মেনে দেখুন সমস্যা কমে কিনা। না হলে চিকিৎসকের
পরামর্শ নিন। নিজে থেকে অম্বলের ওষুধ খাবেন না। বিশেষ করে এই কোভিডের মরসুমে
নতুন করে বিপদ বাড়িয়ে কোনও লাভ নেই।