
আসলে সময়টাই এমন যে, নানা ধরনের ছত্রাকের পাশাপাশি অতিরিক্ত ঘামাচি ও নানা ধরনের সংক্রমণের ভয়। বর্ষাকালে ত্বকের আর্দ্রতা বেড়ে যায়। ফলে নানা ফাঙ্গাল ইনফেকশন, র্যাশ, ব্রুণও দেখা দেয়।
তাই চেষ্টা করুন এই সময় বিশেষ কয়েকটি পণ্য ছাড়া অন্য কিছু না ব্যবহার করার। সূর্যের তীব্রতা কম থাকায় যদি মনে করেন ত্বকের যত্ন কম করলেও হবে। সেটা কিন্তু ঠিক না।
বরং বর্ষা মৌসুমে ক্ষারহীন পরিষ্কারক, এক্সফলিয়েটর ও টোনার নিয়মিত ব্যবহার করা দরকার। বৃষ্টিতে ভিজে গেলে বাড়ি ফিরেই এন্টিসেপটিক লিক্যুইড দিয়ে গোসল করে নিন। বর্ষায় নিজের ত্বকের সঠিকভাবে যত্ন নেয়ার এক অন্যতম উপায় এক্সফ্লোলিয়েশন। এতে আপনার ত্বকের উজ্বলতাও বাড়বে ও ত্বকে থাকা বিভিন্ন জার্মস আর ডেড স্কিন দূর হবে।
ত্বকের মৃত কোষ দূর করতে এক্সফলিয়েট করা প্রয়োজন। এক্ষেত্রে মিহি দানার এক্সফলিয়েটর বা মৃদু রাসায়নিক পিল ব্যবহার করে ত্বককে সংক্রমণ থেকে রক্ষা করা যায়। যতটা সম্ভব মেকআপ এড়িয়ে চলুন। লোমকূপকে শ্বাস নিতে দিন। ঠোঁটের আর্দ্রতা রক্ষা করতে লিপ বাম ব্যবহার করুন ও সবসময় হাতের কাছেই রাখুন। বছরের সারাটা সময়ই ত্বকের সুরক্ষায় সানস্ক্রিন ব্যবহার জরুরি। রোদের ক্ষতিকারক সূর্যরশ্মি কম সময় থাকলেও তা ত্বকের জন্য ক্ষতিকর। তাই সঠিক ও ভালো মানের সানস্ক্রিন ব্যবহার করুন।
বর্ষাকালে ত্বককে উজ্জ্বল রাখতে নিয়মিত ক্লিনজিং ও টোনিং করা উচিত। যেকোনো মাইল্ড ফেস ওয়াশ বা বাড়িতে তৈরি ফেসপ্যাক ব্যবহার করুন ক্লিনজিংয়ের জন্য এবং যেকোনো ভালোমানের টোনার ব্যবহার করুন।
প্রচুর পরিমাণে পানি পান করুন। বৃষ্টিতে হিউমিডিটির জন্য আপনার ত্বক শুষ্ক হয়ে যায়, ফলে দিনে অন্তত ৩-৪ লিটার পানি পান করা উচিত। এতে ত্বকের সাধারণ আর্দ্রতা বজায় থাকে ও আপনাকে ফ্রেশ দেখায়।