সাজগোজ মনকে আনন্দ দেয়, মেজাজ ফুরফুরে রাখে। কিন্তু যে প্রসাধনীর সাহায্যে আপনি মেকআপ করছেন, সেগুলোও যে জীবাণুমুক্ত করা প্রয়োজন, সে কথা ভুলে গেলে চলবে না।
আর এই সময় তো একেবারেই নয়। প্রতিটি প্রসাধনীই জীবাণুমুক্ত করা উচিত। তা না হলে করোনাভাইরাসসহ আরও নানা জীবাণু প্রসাধনসামগ্রীর সঙ্গে মিশে থাকতে পারে।
মেকআপ প্রসাধনী কীভাবে জীবাণুমুক্ত করবেন আসুন জেনে নেই-
১. কোনো কিছু ব্যবহার শুরু করার আগে এর মেয়াদ সম্পর্কে জেনে রাখা ভালো। প্রথমেই মনে রাখতে হবে প্রতিটি মেকআপ সামগ্রীর নির্দিষ্ট মেয়াদোত্তীর্ণ তারিখ থাকে। যেটি পণ্যের গায়েই লেখা থাকে। সেটি পেরিয়ে গেলে প্রসাধনীটি ব্যবহার করা উচিত নয়। এতে ত্বকের ক্ষতি হতে পারে।
২. যখনই লিপলাইনার বা আইভ্রু পেনসিল ব্যবহার করবেন, এর আগে একবার শার্পনারের সাহায্য নিন। শার্পনার ব্যবহার করার আগে কিছুক্ষণ যেকোনো অ্যান্টিব্যাক্টেরিয়াল সলিউশনে পাঁচ-ছয় মিনিট ভিজিয়ে রাখুন। এরপর পরিষ্কার কাপড় বা টিস্যু দিয়ে মুছে পেনসিলটি ধার দিয়ে নিন এবং মেকআপ রিমুভার ও কটন প্যাডের সাহায্যে শার্পনারটি মুছে নিন। এতে শার্পনারটি থাকবে জীবাণুমুক্ত।
৩. যারা নিয়মিত মেকআপ করেন তাদের একটি খুব গুরুত্বপূর্ণ টুল হলো মেকআপের ব্রাশ, যা প্রায় সব মেয়ের মেকআপ বক্সে থাকে। তাই এটিও নিয়মিত পরিষ্কার করা উচিত। কুসুম গরম পানির মাধ্যমে প্রথমেই মেকআপ ব্রাশ ধুয়ে নিন। এবার একটি পাত্রে কুসুম গরম পানি ও যেকোনো বেবি শ্যাম্পু নিয়ে ভালো করে মেকআপ ব্রাশ ভিজিয়ে রাখুন। এবার মেকআপ ব্রাশের ব্রিসল আলতোভাবে ম্যাসাজ করুন, যেন লেগে থাকা মেকআপগুলো সরে যেতে পারে। এবার শেষ ধাপে আঙুলের সাহায্যে শেপ ঠিক করে পরিষ্কার জায়গায় শুকিয়ে নিন। এভাবে মেকআপ ব্রাশ জীবাণুমুক্ত করা সম্ভব।
৪. যারা নিয়মিত বা শখের জন্য লিপস্টিক ব্যবহার করেন, তারা বেশিরভাগ সময়েই ব্রাশের সাহায্যে লিপস্টিক না লাগিয়ে সরাসরি ঠোঁটে লাগিয়ে নেয়। অনেকে নিজের ব্যবহার করা লিপস্টিক বন্ধু, বোন বা অন্য কেউ ব্যবহার করতে চাইলে দিয়ে দেন। এতে জীবাণু সংক্রমণ হওয়ার আশঙ্কা থাকে। এর একটি সহজ সমাধান হলো লিপ ব্রাশ ব্যবহার করা। যদি এটা সম্ভব না হয় তাহলে যখনই লিপস্টিক লাগাবেন, সামান্য রাবিং অ্যালকোহল স্প্রে করে কিছুক্ষণ অপেক্ষা করে লিপস্টিক লাগান।