বছর শেষ হতে আর একটি সপ্তাহ আছে। এ বছরটি সবারই খুব অর্থনৈতিক সংকটে গেছে। জমানো টাকা ভাংতে হয়েছে। তাই অর্থনৈতিক পরিকল্পনা করে নতুন বছরের শুরুতেই সঞ্চয়ী হোন।
একটু গুছিয়ে বা হিসাব করে চললে খুব সহজেই সঞ্চয়ী হিসেবে সফল হতে পারেন আপনি। তাই মেনে চলুন নিচের পরামর্শগুলো:
অল্পতে শুরু করুন: প্রতিদিন অল্প অল্প করে সঞ্চয় শুরু করুন। আর কাজটি করতে পারেন মাটির ব্যাংক দিয়ে। প্রতিদিন মাটির ব্যাংকে অল্প অল্প করে টাকা রাখুন। এক সময় দেখবেন এই জমানো টাকা একটি বিশাল অঙ্কে পরিণত হয়েছে।
অপ্রয়োজনীয় বিষয় বর্জন: অনেক অপ্রয়োজনীয় বিষয় আছে, যা খরচের খাতকে বাড়িতে দেয়। সেগুলো চিহ্নিত করতে হবে। যেমন আপনি হয়তো মোবাইলে আনলিমিটেড ইন্টারনেট সার্ভিস চালু রেখেছেন, অথচ সেটি প্রতিদিন ব্যবহার করছেন না। কিংবা প্রতি মাসে এমন একটি ম্যাগাজিন কিনছেন, যা পড়া হয় না। সেটি বন্ধ করে দিন। এই খরচটি অনেক ছোট মনের হলেও একটি সময়ে গিয়ে এই ছোট খরচটি বড় সঞ্চয় হিসেবে দেখা দেবে। শপিংয়ে যাওয়ার আগে লিস্ট করুন। জামা-কাপড় কেনার আগে দেখে নিন আপনার কী কী আছে ও কী কী আসলেই কেনা প্রয়োজন। আমাদের অনেকেরই অভ্যাস হলো রাস্তায় যেতে যেতে কোনো দোকানে কিছু পছন্দ হলে হুট করে কিনে ফেলা। এটা করার ফলে বেশিরভাগ সময়েই আমরা অপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র দিয়ে ঘর বোঝাই করে ফেলি। জিনিস পছন্দ হয়ে গেলেই হুট করে কিনে না ফেলে একটু ভেবে নিন। দরকার হলে ১-২ দিন পরে কিনুন।
খরচবিহীন দিন কাটান: সপ্তাহের একটি দিন ঠিক করুন, যেদিন কোনো খরচ করবেন না। প্রতি সপ্তাহে এ রকম একটি দিন পালন করুন। দেখবেন খরচ অনেকখানি কমে গেছে।
বাজেট ঠিক করুন: একটি বাজেট নির্ধারণ করুন। যেমন আপনি কত টাকা জমাতে চান সেটি আগে ঠিক করে নিন। তারপর অল্প অল্প করে সঞ্চয় শুরু করুন। প্রতি সপ্তাহে কী কী খরচ আছে, তা পরিকল্পনা করে নিন ও সে অনুযায়ী টাকা খরচ করুন। পরিকল্পনার বাইরে খরচ না করার চেষ্টা করুন। একটু টাইট বাজেট করুন এতে টাকা সঞ্চয় করা সহজ হবে। না হলে দেখবেন বাড়তি টাকা খরচ হয়ে গেছে।
রাখতে পারেন প্রতিদিনের হিসাব: প্রতিদিন কোথায় কত খরচ হলো তার হিসাব একটা খাতায় লিখে রাখুন। মাস শেষে সেটি নিয়ে বসুন। এবার দেখুন কোন কোন খাতে খরচ বেশি হয়েছে ও সেগুলো একটু চেষ্টা করলেই কমানো সম্ভব কি-না!