
ফাইল ছবি
টিকা নেয়ার পরে দীর্ঘ দিন রক্তদান করা যাবে না। তাই করোনাভাইরাসের টিকা আসার পর রক্তের আকাল দেখা দিতে পারে- এমন আশঙ্কা করেছিলেন চিকিৎসকেরা।
রক্তদান পৃথিবীর প্রতিটি সভ্য সমাজেই একটি মহৎ কাজ, কিন্তু সুস্বাস্থ্যের অধিকারী অনেক প্রাপ্তবয়স্ক মানুষেরা রক্তদান করতে ভয় পান। বেশিরভাগ মানুষেরই রক্তদানের পরে শরীরের কোনো ক্ষতি হয় না। বরং রক্তদান করলে বেশ কিছু লাভ হতে পারে।
গবেষণা বলছে, নিয়মিত রক্তদানের ফলে কিছু ক্যানসারের ঝুঁকি কমে। রক্ত দেয়ার ফলে অস্থিমজ্জার রক্তকণিকা উৎপাদন ব্যবস্থা আরো সক্রিয় হয় ও নতুন লোহিত রক্তকণিকা তৈরির হার বাড়ে।
রক্তদানের উপকারিতাগুলো দেখে নেয়া যাক :
হৃদরোগের আশঙ্কা কমে
যুক্তরাষ্ট্রের কলোরাডো বিশ্ববিদ্যালয়ের এক সমীক্ষা বলছে, যারা নিয়ম মেনে নির্দিষ্ট সময় অন্তর রক্তদান করেন, তাদের হৃদরোগের আশঙ্কা কমে। যারা সারা জীবনে কখনো রক্তদান করেননি, তাদের হৃদযন্ত্রের তুলনায়, যারা রক্তদান করেন, তাদের হৃদযন্ত্র অনেক বেশি সুস্থ থাকে।
ক্যানসারের আশঙ্কা কমে
রক্তদান ক্যান্সারের ঝুঁকি কমাতে সহায়তা করতে পারে। পরিসংখ্যান বলছে, যারা নিয়মিত রক্তদান করেন, তাদের ফুসফুস, অন্ত্র, গলার ক্যানসারের আশঙ্কা কমে।
নতুন রক্তকণিকা তৈরি
রক্তদানের কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই আপনার শরীরে নতুন রক্তকণিকা তৈরি হবে। নতুন রক্তকণিকা আপনার শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে এবং স্বাস্থ্যের উন্নতিতে সহায়তা করতে পারে।
বয়সের ছাপ কম
যারা নিয়মিত রক্তদান করেন, তাদের শরীরে বয়সের ছাপও কম পড়ে। ত্বক অনেক টানটান থাকে। শরীরে মেদও জমে কম।
ক্যালোরি ঝরে
একবার রক্তদান করলে সাধারণত তিন মাসের ভিতরে আর রক্তদান করা যায় না। কিন্তু চার-পাঁচ মাস অন্তরও যদি কেউ রক্তদান করেন, প্রতিবারই বিনা পরিশ্রমে ঝরিয়ে ফেলতে পারেন ৬৫০ ক্যালোরি। এমনই বলছে ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণা।
কোলেস্টেরলের মাত্রা কমায়
কিছু গবেষণায় দেখা গেছে, নিয়মিত রক্তদান করলে কোলেস্টেরল, লিপিড ও ট্রাইগ্লিসারাইডের মাত্রা হ্রাস পায়। এছাড়া রক্তকণিকাগুলো আয়রন দিয়ে তৈরি হয়, যা অতিরিক্ত হলে রক্তনালীগুলোর কাজ বাধাপ্রাপ্ত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। নিয়মিত রক্তদান করার মাধ্যমে আপনি অতিরিক্ত আয়রন প্রতিরোধ করতে ও কোলেস্টেরল বজায় রাখতে পারেন।