
প্রতীকী ছবি
কথায় কথায় রাগ হয় অনেকের। তা প্রকাশ করার ধরন আলাদা হতে পারে ব্যক্তি বিশেষে। কারণও হয় আলাদা। কেউ কেউ সেই রাগ না প্রকাশ করার উপায় বের করে নেয়।
কিন্তু রাগ হলে নিজেকে নিয়ন্ত্রণও করতে পারে না অনেকে। কখনো এমন পরিস্থিতি তৈরি হয় যে, রাগ চেপে রাখা কঠিন হয়ে যায়। এমন পরিস্থিতিতে কেউ জোরে কথা বলেন, কেউ কথা বলাই হয়তো বন্ধ করে দেন। কেউ বা অন্য কোরো কাজের মাধ্যমে রাগ দেখান। কেউ আবার রাগ প্রকাশ করেন নিজের ভয় ঢাকতে। কেউ বা রাগের পিছনে ঢেকে রাখতে চান লজ্জা।
ভয়, লজ্জা, বিরক্তির মতো নানা কারণেই রাগ দেখান মানুষ। এছাড়াও ক্ষণে ক্ষণে রেগে যাওয়ার পিছনে থাকতে পারে অন্য কোনো কারণ। সম্পর্ক বা আর্থিক অবস্থার ভিত্তিতে তৈরি হওয়া মানসিক চাপও রাগের পিছনে একটি বড় কারণ।
কয়েক ধরনের মানসিক অসুখও রাগ প্রকাশ করার মতো পরিস্থিতি তৈরি করতে পারে।
অবসাদ : এই অসুখের কারণে টানা হতাশা, দুঃখ আসতে পারে। এমন অবস্থায় খুব বেশি দিন থাকলে কথায় কথায় রাগ ও অভিমান- দুই-ই হতে পারে।
বাইপোলার ডিজঅর্ডার : এই অসুখ থাকলে ক্ষণে ক্ষণে মনের ভাবে পরিবর্তন আসে। অতিরিক্ত আনন্দের আবহেও অনেক সময়ে ঘিরে ধরে রাগের অনুভূতি।
মাদকাসক্তি : অতিরিক্ত মাদকদ্রব্য শরীরের প্রবেশ করলে অনেক সময়ে হিংস্র ভাব তৈরি করে। চিন্তাশক্তির উপরে মাদকের প্রভাবই এমন করে বলে মত মনোরোগ চিকিৎসকদের।
কিভাবে বুঝবেন রাগ করার প্রবণতা বাড়ছে
১. কথায় কথায় বিরক্ত হচ্ছেন,
২. নেতিবাচক চিন্তা বেশি আসছে মনের মধ্যে,
৩. মাঝেমধ্যেই চেঁচামেচি করে ফেলছেন,
৪. উচ্চ রক্তচাপ, বুক ধরফরের মতো শারীরিক সমস্যা বেড়ে চলেছে,
৫. সাধারণ কোনো ঘটনাতেও অনেকের সাথে কথা বলা বন্ধ করে দিচ্ছেন।
রাগ নিয়ন্ত্রণ করবেন যেভাবে
অতিরিক্ত রাগের ফাঁদে পা দিয়ে অনেকেই ভুল করে ফেলে। যা বলার নয় বলে ফেলেন। যে আচরণ অপ্রয়োজনীয়, তা-ও করে ফেলেন। তাতে পরে সমস্যা হয় নিজেরই। ফলে রাগ নিয়ন্ত্রণ করা জরুরি। তার জন্য কয়েকটি পরামর্শ -
১. কথা বলার আগে ভাবুন,
২. কোনও সমস্যা দেখে বিরক্ত না হয়ে, সমাধান খুঁজুন,
৩. অতিরিক্ত রাগ হলে শ্বাসের ব্যায়াম করুন।