
খাদ্যাভ্যাস, অনিয়ম, দুশ্চিন্তাসহ আরো বহুবিধ কারণে চুল পড়ে। ছবি: সংগৃহীত
চুল পড়ার অনেক কারণ রয়েছে। খাদ্যাভ্যাস, অনিয়ম, দুশ্চিন্তাসহ আরো বহুবিধ কারণে চুল পড়ে। রোজ ৮০ টি চুল পড়াকে স্বাভাবিক হিসেবে ধরেন রূপ বিশেষজ্ঞরা। কিন্তু যদি ৮০টি'র ও বেশি চুল পড়ে তাহলে উপায়? যদি অতিরিক্ত চুল পড়ে তাহলে নিতে হবে বাড়তি যত্ন। নয়তো টাক হতে আর বেশি সময় লাগবে না।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম 'টাইমস অব ইন্ডিয়া' চুল পড়ার ৬টি কারণের কথা উল্লেখ করেছে।
চুল পড়ার কারণগুলো সম্পর্কে জেনে নিন:
খাদ্যাভাসের পরিবর্তন
চুলের বৃদ্ধিতে প্রোটিন দারুণ কাজ করে। খাদ্যতালিকায় রোজ প্রোটিন জাতীয় খাবার থাকলে আপনার চুল পড়া অনেকাংশে কমে যাবে। অনেকেই ডায়েট করার জন্য কম খেয়ে থাকেন। এর ফলে তার প্রয়োজনীয় অনেক পুষ্টির ঘাটতি হয়। প্রোটিনের ঘাটতি হলে চুল পড়ে। তাই খাদ্যতালিকায় মাছ, মাংস, দুধ, ডিম, ডালের মতো খাবার রাখুন।
ভিটামিনের স্বল্পতা
ভিটামিন বি-১২ ও ভিটামিন-ডি’র অভাবে চুল পড়ে। এ দুই উপাদান চুলের বৃদ্ধি ঘটায় ও মাথার ত্বকে পুষ্টি যোগায়। মাংস ও দুগ্ধজাত খাবারে ভিটামিন-১২ ও ভিটামিন-ডি রয়েছে। এ দুই উপাদানের ঘাটতি বেশি হলে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী মাল্টিভিটামিন ট্যাবলেট খেতে পারেন।
জন্ম নিয়ন্ত্রণ
জন্ম নিয়ন্ত্রণ পিল খেলে চুল পড়া শুরু হয়। কারণ এসব পিলে প্রোজেসটেরন হরমোন থাকে যার ফলে চুল পড়ে। তাই জন্ম নিয়ন্ত্রণ পিল খাওয়ার আগে এর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া জানতে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
গর্ভধারণ
গর্ভধারণকালীন একজন নারীর হরমোনের পরিবর্তন ঘটে। এর প্রভাবে চুল পড়ে যেতে পারে। বিশেষজ্ঞদের মতে গর্ভধারণকালে চুলপড়া স্বাভাবিক বিষয়। গর্ভধারণের ৩-৪ মাস পর তা স্বাভাবিক হয়ে যায়। যদি স্থায়ীভাবে চুল পড়ে যায়, তবে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।
চুলের স্টাইল
আপনার চুল বাধার স্টাইলের কারণেও আপনার চুল পড়তে পারে। অনেক শক্ত করে কিংবা উঁচু করে চুল বাঁধলেও চুল পড়তে পারে।
চুলের ট্রিটমেন্ট
চুল সুন্দর ও ঝলমলে রাখার জন্য অনেকেই অনেক কিছু করে। চুলে রঙ করা, রিবন্ডিং করা চুল পড়ার কারণ হতে পারে। কারণ রিবন্ডিং করার সময় চুল ক্ষতিগ্রস্থ হয়। এতে রাসায়নিক সমৃদ্ধ প্রসাধনী ব্যবহার করা হয়। রাসায়নিক সমৃদ্ধ প্রসাধনী দিয়ে তাই চুলের ট্রিটমেন্ট না করাই ভালো।