
ফাইল ছবি
সময় পেলেই আমরা ঘর পরিষ্কার করতে কিংবা সাজাতে ব্যস্ত হয়ে পড়ি; কিন্তু বাড়ির যে ঘরটিতে আমরা নিজের সঙ্গে একান্তে সময় কাটাই, তার দিকে নজর দেওয়াই হয় না! বলা হচ্ছে বাথরুমের কথা। বাথরুমের মাধ্যমেও একজন মানুষের নান্দনিক রুচির প্রকাশ পেতে পারে। বাড়ির এই গুরুত্বপূর্ণ অংশটিরও প্রয়োজন সঠিক সাজ।
বাথরুমে তিনটি গুরুত্বপূর্ণ জিনিস হলো বেসিন, কমোড ও শাওয়ার। খরচ কমাতে এই তিনটিকে রাখুন এক লাইনে। এতে প্লাম্বিংয়ের খরচ কমবে।
বেসিন রাখুন দরোজার কাছাকাছি, কারণ বাথরুমে ঢুকতে এবং বেরনোর আগে এটি আপনার কাজে লাগবেই। বড় মাপের একটি আয়না রাখুন। এটি ছোট বাথরুমকেও কিছুটা বড় দেখাবে। উজ্জ্বল আলো যেন বাথরুমে থাকে।
সঠিক স্থানে লাইট লাগাতে হবে। বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই দেখা যায়, আয়নার ঠিক ওপরেই একটা বাল্ব লাগানো থাকে। এতে চোখ, নাক ও গালের নিচে ছায়া পড়ে। তাই আয়নার জন্য বেস্ট অপশন টাস্ক লাইটিং।
আয়নার পাশে বা বেসিনের নিচে ক্যাবিনেট রাখতে পারেন। এই ক্যাবিনেট টপে রাখতে পারেন শেভিং কিট বা প্রসাধনসামগ্রী। বেসিনের আকার, আয়তন এবং রঙেও নতুনত্ব আনতে পারেন।
দরজা থেকে দূরে রাখুন কমোড এবং শাওয়ার এরিয়া। বাথরুমের দরজা খুললেই কমোড যেন নজরে না আসে, সেদিকে খেয়াল রাখুন। টয়লেট এরিয়ার ওপরের দেয়ালে গিজার ফিট করে নিন।
শাওয়ার এরিয়া অন্তত ইঞ্চিখানেক সিমেন্ট দিয়ে বাথরুম ফ্লোর গার্ড করে নিন। এতে গোসলের পানি এই এলাকার বাইরে যেতে পারবে না। বাথরুম বড় হলে বাথটাব রাখতে পারেন। লাগাতে পারেন কাচের শাওয়ার কিউবিকলও। এতে গোসলের পানি বাইরে ছিটকে আসবে না। লাগাতে পারেন শাওয়ার কার্টেন। এতে বাথরুমে নানা রঙের ছোঁয়া আসবে। শাওয়ার এরিয়ায় সাবান-শ্যাম্পু-তেল রাখার জন্য একটা তাক থাকা প্রয়োজন।
সুন্দর একটা টাওয়েল রড লাগান। এই রড দরজার গায়েও লাগাতে পারেন। যেহেতু সবকটি পাশাপাশি রাখা, তাই অন্য দেয়ালটা কিন্তু ফাঁকা। এখানে একটি ক্যাবিনেট লাগিয়ে নিতে পারেন। তাতে থাকবে পোশাক, টয়লেট্রিজ ইত্যাদি।
ফ্লোর ও দেয়ালে অ্যান্টি-স্কিড সিরামিক টাইলস ব্যবহার করলে সহজে পরিষ্কার করা যাবে, পিচ্ছিলও হবে না। বাথরুমকে সুন্দর দেখাতে ব্যবহার করুন রঙিন টাইলস। নীল ও সবুজ রঙ মন ভালো রাখবে। হালকা ও গাঢ় রঙের টাইলস মিশিয়ে লাগান। বাথরুমের সিলিংটা সাদা বা ক্রিম রঙের হলে ভালো। এতে আলো প্রতিফলিত হবে। এমন কোনো বেঢপ আকৃতির ফিটিংস লাগানো উচিত নয়, যা বাথরুমের সঙ্গে মানানসই নয়।
দুটি বিষয় অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে। প্রথমত, প্রাকৃতিক আলো-বাতাস ঢোকার যেন পর্যাপ্ত অবকাশ থাকে। দ্বিতীয়ত, ভেজা আর শুকনো অংশ সব সময় আলাদা রাখুন। সবশেষে ভালোভাবে দেখুন সবকিছু শক্তভাবে লাগানো হয়েছে কি না।