
ত্বকের সৌন্দর্য বৃদ্ধিসহ বিভিন্ন রোগ সারাতে হলুদ সাহায্য করে।
হলুদের গুণ অনেক। বহু বছর আগে থেকে এটি বিভিন্ন রোগের দাওয়াই হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। স্বাস্থ্য সুরক্ষার পাশাপাশি এটি ত্বকের সৌন্দর্যও বাড়ায়।
সাম্প্রতিক দেশকাল পাঠকদের জন্য হলুদের স্বাস্থ্য উপকারিতা তুলে ধরা হলো:
ওজন কমাতে
নিয়মিত হলুদ খেলে ওজন কমে। হলুদ স্থূলতার জন্য দায়ী টিস্যুগুলোর বৃদ্ধি রোধ করে। হজমক্রিয়া বাড়াতে সাহায্য করে। ফলে চিনিজাত খাদ্য শরীরে চর্বি আকারে জমাট বাঁধতে পারে না। হলুদ রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বাড়িয়ে জীবাণু ও ব্যাকটেরিয়াজনিত সংক্রমণ সারায়।
মস্তিষ্কের ক্ষয়জনিত সমস্যা রোধ
হলুদে থাকা অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি উপাদান পার্কিনসনস, আলঝেইমার, টিস্যুর স্থবিরতার মতো সমস্যা দূর করে। হলুদ হতাশার পরিমাণ কমাতে সাহায্য করে।
ত্বকের সৌন্দর্য বৃদ্ধি
হলুদ ত্বকের সৌন্দর্য বাড়ায়। ত্বকের বলিরেখা, বয়সের ছাপ দূর করে। মুখের তেলতেলে ভাব নিয়ন্ত্রণ করে। ব্রণ ও খুশকি দূর করতেও সাহায্য করে।
আর্থ্রাইটিসের ব্যথা হ্রাস
হলুদে অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি উপাদান থাকে। আর্থ্রাইটিসের ব্যথা হ্রাস করে এটি। হাড়ের কোষকে সুরক্ষা করে।
নিয়মিত পিরিয়ড
অনিয়মিত মাসিক নিয়মিত করে হলুদ। হরমোনের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ–বৃদ্ধিতে ভূমিকা রাখে হলুদে থাকা কারকিউমিন নামক উপাদান। এই উপাদান পিরিয়ডের আগে ব্যথা কমাতেও সাহায্য করে থাকে।
হৃদযন্ত্রকে সুরক্ষা
হলুদ রক্তকোষ ও কোলেস্টরেলবাহী তন্তুকে ঠিক রাখে। রক্তনালিকে উন্মুক্ত করে ও রক্ত চলাচলের বাধা দূর করে।
ক্যানসার প্রতিরোধ
হলুদের অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট উপাদান রক্তকণিকাকে নিরাপদ রাখে। ফলে স্তন ক্যানসার, পাকস্থলী, কোলন ও ত্বকের ক্যানসার তৈরি হতে পারে না।
যকৃৎ সুরক্ষিত রাখে
হলুদ লিভার তথা যকৃতের বিভিন্ন রোগের প্রতিষেধক হিসেবে কাজ করে। লিভারের বহুবৃদ্ধি, হেপাটাইটিস, সিরোসিস, গলব্লাডারের মতো সমস্যা তৈরিতে বাধা দেয়।