
ছবি: সংগৃহীত
ভাজাপোড়া কিংবা মশলাদার খাবার খেলেন। কিছুক্ষণ পরেই শুরু অ্যাসিডিটির অত্যাচার। এই ভয় থেকেই অনেকে খাবার তালিকা থেকে বাদ রাখেন প্রিয় খাবারগুলোও। পেটের গ্যাসট্রিক গ্রন্থির মাধ্যমে অত্যধিক পরিমাণে অ্যাসিড উৎপন্ন হলে শরীরে নানাভাবে তা সমস্যার সৃষ্টি করে। সাবধানতা অবলম্বন গ্যাসট্রিক আলসার পর্যন্ত হতে পারে। কখনো কখনো বড় কোনো অসুখের উপসর্গ হলো অ্যাসিডিটি।
বুক, পেট, গলার মধ্যে জ্বালাদায়ী অস্বস্তি, ঢেঁকুর, বমি ভাব, ভরা পেট, জিহ্বা বিস্বাদ হয়ে থাকা ইত্যাদি অ্যাসিডিটির মূল লক্ষণ। অসময়ে খাওয়া, মশলাযুক্ত খাবার, অনিয়ন্ত্রিত চা-কফি, ধূমপান ও মদ্যপান, পেটের নানা ব্যাধি, ব্যথা কমার ওষুধ সেবন নানা কারণেই এই অ্যাসিড হানা হতে পারে শরীরে। অ্যাসিডিটি থেকে বাঁচতে ঘরোয়া উপায় জানা থাকলে এই সমস্যা থেকে পরিত্রাণ পাওয়া যায় সহজে।
খাওয়ার অভ্যাস ঠিক রাখুন
আমরা পুষ্টিকর খাবার খেলেও যদি তা সঠিক উপায়ে না খাই তবে অ্যাসিডিটির সমস্যা হতে পারে। অনেকেই খাবার খাওয়ার মধ্যে অনেকখানি পানি খেয়ে ফেলে বা খাবার খাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে শুয়ে পড়ে। এসব অভ্যাস অ্যাসিডিটি বাড়ানোর জন্য যথেষ্ট। তাই খাবারের ক্ষেত্রেও সঠিক নিয়মগুলো মেনে চলুন।
সঠিক খাবার নির্বাচন করুন
আমরা বেশিরভাগই খাবার নির্বাচনের বিষয়ে সতর্ক নই। অসতর্কতায় আমরা প্রতিদিন এমন অনেক খাবার খেয়ে ফেলি যা অ্যাসিডিটির কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে। অতিরিক্ত তেল, ঝাল, মশলাযুক্ত খাবার এই সমস্যার কারণ হতে পারে। এ ধরনের খাবার খাওয়ার অভ্যাস ত্যাগ করুন। খাবারের তালিকায় রাখুন মৌসুমী ফল, শাক-সবজি। কম তেল-মশলাদার খাবার আপনাকে অ্যাসিডিটি থেকে দূরে রাখবে।
সঠিক পানীয় পান করুন
যদি বিশুদ্ধ পানি পান করে থাকেন, তবে সমস্যা নেই। কিন্তু এখন অনেকেই কোল্ড ড্রিংকস বা এনার্জি ড্রিংকস খেতে বেশি পছন্দ করেন। এসব পানীয় শরীরের ভীষণ ক্ষতি করে থাকে। তাই পানি পানের ক্ষেত্রে সচেতন ও সতর্ক হতে হবে। মদ্যপানের অভ্যাস থাকলে তা আজই ছাড়তে হবে। এতে অ্যাসিডিটি থেকে দূরে থাকা যাবে।
ধূমপান করবেন না
যারা ধূমপান করেন, তারা অন্যান্য অসুখের সঙ্গে ডেকে আনেন অ্যাসিডিটিকেও। বিভিন্ন গবেষণায় প্রমাণ মিলেছে যে, ধূমপানের অভ্যাস থাকলে তা অ্যাসিডিটি বাড়ানোর জন্য যথেষ্ট। আপনার যদি ধূমপানের অভ্যাস থাকে তবে তা আজই ছাড়তে হবে।
ওজন কমাতে হবে
ওজন বেশি হলে তার প্রভাব পড়ে হজমতন্ত্রের ওপর। আপনার ওজন যদি অতিরিক্ত হয় তবে খাদ্যনালীর মধ্যে থাকা ভাল্ব সঠিকভাবে কাজ করবে না। যে কারণে অ্যাসিড উপরে উঠে আসবে। এর ফলেই বুকে জ্বালা ও অস্বস্তি হয়। তাই অ্যাসিডিটি থেকে মুক্তি পেতে হলে ওজন কমাতে হবে। বিএমআই অনুযায়ী আপনার কতটা ওজন দরকার তা নির্ধারণ করে ওজন কমিয়ে নিন।