
ছবি: সংগৃহীত
সুস্থ থাকতে মন ভালো রাখা জরুরি। তাই মনেরও যত্ন চাই। এত ব্যস্ততার ভিড়ে যখন নিজেকে সময় দেওয়া একেবারেই অসম্ভব তখন মনের কথা ভাবার সময় কোথায়। তবে সুস্থ থাকতে সময় দিতে হবে নিজেকে। আর নিজেকে দেখাশোনার ক্ষেত্রে ঘোরাঘুরির বিকল্প নেই।
তাই যাদের হাতে সময় একেবারেই স্বল্প তারা ঘুরে আসতে পারেন ঢাকার কাছাকাছি জায়গাগুলো থেকে। এতে আপনি যেমন নিজের জন্য সময় বের করতে পারবেন তেমনি ঢাকার আশপাশের জায়গাগুলো থেকেও সময় কাটিয়ে আসতে পারবেন প্রিয় মানুষের সঙ্গে।
পানাম নগর
যদি স্মৃতির পাতা উলটেপালটে দেখতে চান আর সঙ্গে চান নিরিবিলি সময় কাটাতে, তাহলে ঘুরে আসতে পারেন ঢাকার অদূরেই সোনারগাঁ পানাম নগর থেকে। পৃথিবীর একশটি ধ্বংপ্রাপ্ত জায়গার মধ্যে পানাম নগর অন্যতম। ঈশা খাঁর আমলে বাংলার রাজধানী ছিল এ জায়গাটি। কালের বিবর্তনে যা রূপ নিয়েছে এ ধ্বংসস্তূপে। তবে এর মনোরম পরিবেশ আর হাজার বছরের ঐতিহ্য দেখতে পর্যটকদের ভিড় জমে এ জায়গাটিকে ঘিরে।
বালিয়াটি জমিদার বাড়ি
মানিকগঞ্জের সাটুরিয়ায় অবস্থিত এ জমিদার বাড়িটি বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় জমিদার বাড়িগুলোর মধ্যে অন্যতম। পুরো সাতটি স্থাপনা নিয়ে তৈরি এ জমিদার বাড়ি আর এর মনোরম পরিবেশ আপনার ঘোরাঘুরির জন্য উপযুক্ত। নিজে কিংবা পরিবারের অন্য সদস্যদের নিয়ে খুব সহজেই এক দিনে ঘুরে আসতে পারেন এই জায়গাটি থেকে। জমিদার বাড়ি যাওয়ার আগে ঘুরে দেখতে পারেন নাহার গার্ডেন।
গোলাপ গ্রাম
যতদূর চোখ যায় কেবল চোখে পড়বে নানা রঙের গোলাপ আর সবুজের হাতছানি। সাভারের বিরুলিয়ার গ্রামগুলো যেন এক একটা আলাদা আলাদা ফুলের রাজ্য। কিছুটা আলাদা আমেজে সময় কাটাতে চাইলে কিংবা আপনি যদি ছবি তুলতে ভালোবাসেন তবে ঘুরে আসতে পারেন জায়গাটি থেকে।
মহেরা জমিদারবাড়ি
তিনটি আলাদা স্থাপনার সঙ্গে সুনিপুণ কারুকাজের জন্য এটি টাঙ্গাইলের অন্যতম দর্শনীয় একটি স্থান। এর স্থাপনার জন্যই ভ্রমণপ্রেমীদের কাছে পছন্দের একটি জায়গা এ মহেরা জমিদারবাড়ি।
মৈনট ঘাট
ঢাকার দোহারে মৈনট ঘাট মিনি কক্সবাজার নামেও পরিচিত। এর সমুদ্রের বেলাভূমি আর পদ্মার উত্তাল ঢেউ আপনাকে কিছুটা হলেও কক্সবাজারের কথা ভুলিয়ে দেবে। খাবার-দাবারের নানা স্টল কিংবা ছোট ছোট নানা টুকিটাকি জিনিস পেয়ে যাবেন আপনি কাছের বাজারেই। তাই সারা দিন খুব সহজেই কাটিয়ে আসতে পারেন এ দর্শনীয় জায়গাটি থেকে।