প্রাকৃতিক উপায়ে হিমোগ্লোবিন বাড়াবেন যেভাবে

ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ০৫ ফেব্রুয়ারি ২০২২, ১০:৫৯

ছবি: সংগৃহীত
রক্তকোষে লৌহসমৃদ্ধ একধরনের প্রোটিন হচ্ছে হিমোগ্লোবিন। এটি শরীরে অক্সিজেন পরিবহনে সাহায্য করে। সুস্থ জীবনযাপনে রক্তে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা সঠিক থাকা প্রয়োজন।
শরীরে পর্যাপ্ত রক্তের অভাব হলে হিমোগ্লোবিন স্বল্পতা দেখা দেয়। এর ফলে ক্লান্তি, শারীরিক দুর্বলতা, শ্বাসকষ্টের সমস্যা ইত্যাদি উপসর্গ দেখা যায়। রক্ত স্বল্পতার সমস্যায় পুরুষের চেয়ে নারীরা বেশি ভোগেন।
তবে কিছু খাবার খেয়ে রক্তে হিমোগ্লোবিনের মান ঠিক রাখা যায়। চলুন তবে জেনে নেওয়া যাক-
ভিটামিন সি- এর অভাবে হিমোগ্লোবিন কমে যেতে পারে। তা ছাড়া ভিটামিন সি ছাড়া লোহা পুরোপুরিভাবে শোষণ হয় না। পেঁপে, কমলা, লেবু, স্ট্রবেরি, গোলমরিচ, সবুজ ফুলকপি (ব্রকোলি), আঙুর, টমেটো ইত্যাদিতে প্রচুর ভিটামিন সি থাকে।
শরীরে লৌহের ঘাটতি হিমোগ্লোবিন কমে যাওয়ার অন্যতম কারণ। হিমোগ্লোবিন উৎপাদনে লোহা গুরুত্বপূর্ণ একটি উপাদান। লৌহসমৃদ্ধ খাবারের মধ্যে রয়েছে মুরগির কলিজা, ঝিনুক, ডিম, আপেল, বেদানা, ডালিম, তরমুজ, কুমড়ার বিচি, জলপাই, ইত্যাদি।
ফলিক অ্যাসিড একপ্রকার ভিটামিন বি কমপ্লেক্স। এটি লাল রক্তকণিকা তৈরিতে প্রয়োজনীয় উপাদান। সবুজ পাতাযুক্ত সবজি, কলিজা, ভাত, শিমের বিচি, বাদাম, কলা, সবুজ ফুলকপিতে অনেক ফলিক অ্যাসিড পাওয়া যায়।
বিট শুধু আয়রনই না, প্রোটিন, কপার, ভিটামিন, সালফার, সবই থাকে এই বিটে। হিমোগ্লোবিনের স্তর বৃদ্ধির জন্য বিটের রস খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন অনেক চিকিৎসক। বিটে আছে আয়রন, ফলিক অ্যাসিড ফাইবার ও পটাশিয়াম। এটি লাল রক্ত কণিকা বৃদ্ধিতে সাহায্য করে।
ইংরেজি প্রবাদেই রয়েছে দিনে একটি করে আপেল খেলে তা চিকিৎসকের থেকে দূরে রাখে। আপেল খেয়ে রক্তে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা ঠিক রাখতে পারেন। আয়রনের উৎস আপেলে আরও নানা প্রকার পুষ্টি উপাদান রয়েছে।
রক্তশূন্যতা এড়াতে কিংবা এই সমস্যা দূর করতে নিয়মিত আমড়া খান। কারণ আমড়ায় আছে প্রচুর আয়রন যা রক্তশূন্যতা রোধে সাহায্য করে। এটি আমাদের রক্তে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা ঠিক রাখতেও সাহায্য করে।
ড্রাই ফ্রুটস যেমন কিসমিস, আলমন্ড, শুকনো খেজুর আয়রনের ভাণ্ডার। সুতরাং হিমোগ্লোবিন কম থাকলে এগুলো খাওয়া অত্যন্ত জরুরি।