
ছবি: সংগৃহীত
হাসি-কান্না, সুখ-দুঃখ নিয়েই মানুষের জীবন। আনন্দে হাসি ও দুঃখে অঝরে কান্না করা। আবার কখনও এমন হয় আনন্দেও চোখে আসে পানি। আবেগের বহিঃপ্রকাশ হিসেবে নানা সময় আমরা কেঁদে থাকি।
কান্নার এক হিতকরি প্রভাব পড়ে শরীরের উপর। দেহ আর মনের কুশলে কান্নার আছে বিশেষ ভুমিকা।
চলুন তবে জেনে নেওয়া যাক, কান্নার উপকারিতা সম্পর্কে-
- কাঁদার সময় যে পানি বের হয় তা আমাদের চোখের মণি আর চোখের পাতা পরিষ্কার করে দেয়। এটি আমাদের চোখকে শুষ্ক হয়ে যাওয়া থেকেও বাঁচায়। ফলে এটি চোখ পরিষ্কার রাখতে আর দৃষ্টি পরিষ্কার করতে সাহায্য করে।
- কাঁদার সময় আমাদের শরীরের ভেতরে এমন কিছু হরমোনের ক্ষরণ বেড়ে যায়, যার প্রভাবে তাড়াতাড়ি ও প্রশান্তির ঘুম আসে।
- মনের মধ্যে চেপে রাখা কষ্ট যদি কান্নার মাধ্যমে বেরিয়ে আসে, তাহলে মন হালকা হয়। তাই মনোবিদরা বলেন মন খারাপ হলে, কান্না পেলে নিজেকে না আটকাতে। বরং সমীক্ষায় দেখা গেছে, যারা সহজেই চোখের জল ফেলতে পারেন, তারা অবসাদের সঙ্গে খুব ভালো মোকাবিলা করতে পারেন।
- চোখের জলে থাকা অ্যান্টি-ব্যাক্টেরিয়াল উপাদান চোখে থাকা ব্যাকটেরিয়া ও ভাইরাস দূর করে। রাস্তা-ঘাটে, বাসে-ট্রামের ধুলো-বালি থেকে সারা দিনে চোখের ভেতর কত ময়লা জমা হয়। এগুলো থেকে নানা জীবাণু আমাদের চোখের ভিতরে বাসা বাঁধতে পারে। কিন্তু চোখের জল সেসব জীবাণু ধ্বংস করতে খুবই কার্যকরী। চোখের জলে থাকা আইসোজাইম মাত্র ৫-১০ মিনিটে চোখে বাসা বঁধা ৯০-৯৫ শতাংশ ব্যাকটেরিয়াকে মেরে ফেলতে পারে।
- কান্না করলে ওজনও কমে। বিশেষজ্ঞদের মতে, কান্নার সময় শরীর থেকে ক্যালোরি বার্ন হয়। এ কারণেই কান্নার মাধ্যমেও অতিরিক্ত ওজন কমানো সম্ভব।
- কাঁদলে অতিরিক্ত এটিসিএইচ হরমোন বের হয়ে যায় এবং কর্টিসোলের পরিমাণ কমে যায়। ফলে মনের ভেতরে থাকা চাপ কমে যায়। আমাদের শরীরে থাকা চাপ নিবারক আরেকটি উপাদান হচ্ছে লিউসিন এনকেফালিন। কান্নার ফলে এটি নিঃসৃত হয়। এটি ব্যথা কমায় এবং মন ভালো করে দেয় নিমেষে।
- চোখের জলে ৯৮ শতাংশ পানি আর বাকিটুকুতে থাকে স্ট্রেস হরমোন ও টক্সিন। গবেষকরা বিভিন্ন পরীক্ষা করে দেখেছেন, চোখের জলের মাধ্যমে শরীর থেকে বেশ কিছু টক্সিন নির্গত হয়ে যায়।