
ছবি: আনন্দবাজার পত্রিকা
আমাদের দেশে অতিপরিচিত ফলের তালিকায় সবার প্রথমেই থাকবে কলার নাম। খাবার হিসেবে কলা যেমন সুস্বাদু, তেমনই স্বাস্থ্যকর। তবে শুধু কলা না কলার খোসারও রয়েছে অনেক উপকারিতা। পাশাপাশি অনেক গুরুত্বপূর্ণ কাজে ব্যবহার করা যায় কলার খোসা।
চলুন তবে জেনে নেওয়া যাক, কলার খোসার ব্যবহার-
- ময়লা হিসেবে কলার খোসা ফেলে দেয়ার চেয়ে তা রান্না করে খাওয়া যেতে পারে। এতে অবসাদ দূর হয়। কলার খোসায় মুড-নিয়ন্ত্রণ রাসায়নিক সেরোটোনিন থাকে প্রচুর পরিমাণে। সেই সেরোটোনিন শরীরের অবসাদ দূর করে।
- ছোট ছোট ব্রণকে দূর করতে সাহায্য করবে কলার খোসা। কলার খোসার ভেতরের অংশটি দিয়ে ব্রণের ওপর ঘষতে থাকুন। কিছুক্ষণ পর দেখবেন ব্রণ কোথায় যেন মিলিয়ে গিয়েছে।
- মশা বা পোকামাকড়ের কামড়ের ফলে ত্বকে চুলকানি হয়। কলার খোসার ভেতরের দিকটা আক্রান্ত স্থানে ঘষুন। দেখবেন চুলকানি একদম কমে গিয়েছে।
- কলার খোসার ভেতরের অংশ দাঁতে ঘষতে থাকুন ২ মিনিট ধরে। ৫ মিনিট অপেক্ষা করে এরপর নিয়মিত টুথপেস্ট দিয়ে দাঁত মেজে ফেলুন। মাত্র ৭ দিনেই দাঁত হয়ে উঠবে ঝকঝকে সাদা।
- জুতা পলিশের পরিবর্তে ব্যবহার করতে পারেন কলার খোসা। প্রথমে জুতায় ময়লা লেগে থাকলে তা পরিষ্কার করে নিন। এবার পাকা কলার খোসার ভেতরের অংশটা দিয়ে জুতো ওপরে ঘষুন অন্তত ৫ মিনিট। দেখবেন চকচকে হয়ে উঠতে শুরু করেছে জুতা। এবার একটি পাতলা পরিষ্কার কাপড় দিয়ে জুতো জোড়া ভালো করে মুছে নিন।
- ঘরের বিভিন্ন আসবাবপত্র ও শো-পিস পরিষ্কারের কাজে দারুণ কার্যকর কলার খোসা। কলার খোসায় থাকা অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট দীর্ঘদিনের জমে থাকা ময়লা পরিষ্কার করে। এ ছাড়া রুপার নানা অলংকার ঘষে পরিষ্কার করলে, তা আরও টেকসই ও মসৃণ হয়।