-623171352c76e.jpg)
ছবি: সংগৃহীত
ইতিমধ্যেই বিদায় নিয়েছে শীত। চলে এসেছে গরম। ঋতু পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে তরুণ-তরুণীদের অন্য সব অভ্যাসের পাশাপাশি পোশাক-আশাকেও আসে নানা পরিবর্তন। কেননা পোশাক মানুষের যেমন ব্যক্তিত্ব প্রকাশের একটি মাধ্যম, তেমনি এটি আপনাকে পুরোদিন ভালো রাখারও একটি উপায়।
পোশাকের মাধ্যমে যেমন আপনি কতটা স্মার্ট তা প্রকাশ পায়, তেমনি আপনি কতটা স্বস্তিতে আছেন তা-ও বোঝা যায়। তাই গরমে স্বস্তি দিতে পারে এমন পোশাকই পরা উচিত। গরমের কথা মাথায় রেখে সবাই চান আরামদায়ক ও ফ্যাশনেবল পোশাক পরতে।
গরমকালে উষ্ণতা ও আর্দ্রতার ধাক্কা সামলাতে সুতি কাপড়ের তুলনা নেই। পাতলা সুতি কাপড়ের পোশাক পরলে একদিক থেকে যেমন গরম কম লাগবে, অন্যদিকে আরামও লাগবে। ফলে স্বাচ্ছন্দ্যে কাজ করা যাবে। এই গরমে অবশ্যই কৃত্রিম সব পোশাক এড়িয়ে চলতে হবে। পাতলা তাঁত ও খাদি কাপড়ের পোশাকও এ সময় পরা যায়।
গরমের পোশাকটা হালকা ও আরামদায়ক হওয়াই ভালো। খেয়াল রাখতে হবে পোশাকটা যাতে তাপ শোষণ করে কম। তাই প্রতিদিনের ব্যবহারের জন্য সুতি কাপড়ই আরামদায়ক। তবে ধুপিয়ান, ভয়েল, চিকেন ও তাঁতের কাপড় গরমের জন্য বেশ উপযোগী। কোনো উৎসব বা রাতের কোনো পার্টিতে পরতে পারেন লিলেন, মসলিন বা পাতলা চোষা কাতান। রঙের ক্ষেত্রে সাদা হতে পারে আদর্শ রং। এছাড়াও গোলাপি, জলপাই সবুজ, আকাশি, হালকা হলুদ, ঘিয়ে হালকা ম্যাজেন্টা রংগুলোর হালকা শেড গরমে উপযোগী। কালো বা গাঢ় রঙের পোশাক অতিরিক্ত তাপ শোষণ করে। তাই এ রঙের কাপড় পরিধান না করাই ভালো।
পুরুষ অথবা শিশুদের পোশাকের রং হালকা ধাঁচের হওয়া উচিত। সাদা, ঘিয়ে, ধূসর, হালকা নীল, বাদামি, গাঢ় বাদামি, অফ হোয়াইটসহ সব রঙেরই কাপড় পাওয়া যায়। ছেলেদের পোশাকের ক্ষেত্রে গরমে প্রিন্টেড বা চেক কাপড়ের শার্ট আরামদায়ক। একটু ঢিলেঢালা শার্ট পরলে ঘামে কাপড় নষ্ট হবে না। হালকা রঙের কাপড় ব্যবহার করাই ভালো। যেমন সাদা, হালকা বেগুনি, প্রিন্টেড ফ্রেব্রিক ও লাইট চেক, একরঙা ব্যান্ড কলারের ফতুয়াও পরতে পারেন।