
বেলের শরবত। ছবি: সংগৃহীত
দিন দিন বাড়ছে গরম। আর এই তীব্র গরমের মধ্যেই মুসলিমরা আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের আশায় সিয়াম পালন করছেন। এই গরমের মধ্যে রোজা রাখার ফলে অসুস্থ হয়ে পড়ার ঝুঁকিটা একটু বেশি থাকে। সারাদিন রোজা রেখে ইফতারে তাই শরবত ও ফলজাতীয় খাবার রাখার পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা।
কারণ ভাজাপোড়া খাবার উপকারের থেকে অপকারই বেশি করে। তবে তাজা ফল ও ফলের শরবত বেশ উপকারী। ইফতারে ঠান্ডা একগ্লাস বেলের শরবত হলে নিমিষেই যেন প্রাণ জুড়িয়ে যায়। বেলের নানান গুণাগুণের জন্য আমরা বেল খেয়ে থাকি। কারণ বেলে আছে নানান ঔষুধি গুণাবলী যা আমাদের দেহের অনেক উপকার করে থাকে।
- রোজায় পেট পরিষ্কার রাখা কঠিন হয়ে পড়ে। কারণ এসময় বেশিরভাগ মানুষই মুখরোচক খাবার খেয়ে থাকেন। সেসব খাবার হজমে সমস্যা সৃষ্টি করে। যে কারণে পেট ভালোভাবে পরিষ্কার হয় না। ফলস্বরূপ দেখা দেয় কোষ্ঠকাঠিন্য। এসব সমস্যা সমাধানে কাজ করে বেল। শুধু রোজায় নয়, বছরের অন্যান্য সময়েও এটি খাওয়ার অভ্যাস করুন। এতে কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে মুক্তি পাবেন।
- রোজায় গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা বেড়ে যায়। সেখান থেকে আলসার দেখা দেওয়াও অস্বাভাবিক নয়। এই সমস্যা সমাধানে বেশ কার্যকরী বেলের শাঁস। সপ্তাহে তিনদিন খেতে পারেন বেলের শরবত। এছাড়াও বেলের পাতা ভিজিয়ে রেখে সেই পানি পান করলেও মিলবে উপকার।
- যাদের ডায়াবেটিসের সমস্যা আছে, তারা নিয়মিত খেতে পারেন বেল। কারণ ডায়াবেটিস রোগীদের বিশেষ উপকারী বেল। এতে থাকে মেথানল নামক এক ধরনের উপাদান। যা ব্লাড সুগার কমাতে দারুন কার্যকরী। তবে ডায়াবেটিস রোগীরা শরবত না খেয়ে শুধু বেল খাবেন।
- বর্তমানে আর্থ্রারাইটিসের সমস্যা বেশ পরিচিত। শরীরের বিভিন্ন জয়েন্টে ব্যথা বোধ করেন বেশিরভাগ মানুষই। এই সমস্যা থেকে মুক্তি দিতে পারে বেল। নিয়মিত বেল খেলে আর্থ্রারাইটিসের সমস্যা কমে অনেকটাই।
- রোজায় ক্লান্তি আসবেই। এক্ষেত্রে বেল শক্তি বাড়াতে কাজ করে। প্রতি ১০০ গ্রাম বেল থেকে পাবেন ১৪০ ক্যালোরি। সেইসাথে এটি মেটাবলিক স্পিড বাড়াতেও কাজ করে। তাই প্রতিদিনের ইফতারে রাখুন বেল।