
কৃমির সমস্যা থেকে মুক্তির ঘরোয়া উপায়।
শিশুদের পেটে সাধারণত কৃমি বেশি হয়। কারণ তারা মিষ্টি জাতীয় খাবার খেতে বেশি ভালোবাসে। তাই তিন থেকে ছয় মাস পর পর কৃমির ওষুধ খাওয়ার পরামর্শ দেন চিকিৎসকরা।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম জি নিউজের এক প্রতিবেদনে শিশুর পেটে কৃমি হলে কী কী উপসর্গ প্রকাশ পায় এবং তা থেকে কীভাবে মুক্তি পাওয়া যায় তা বলা হয়েছে।
কৃমির উপসর্গ
১. মিষ্টিজাতীয় খাবারের প্রতি প্রবল আগ্রহ বেড়ে যাওয়া।
২. মাড়ি থেকে রক্তপাত হওয়া।
৩. ঘুমনোর সময়ে মুখ থেকে লালা পড়া।
৪. অকারণে ক্লান্ত হয়ে পড়া।
৫. ত্বকে র্যাশ ও চুলকানির সমস্যা।
৬. খিদে না পাওয়া।
৭. গা-হাত-পা ব্যথা।
কৃমির সমস্যা থেকে মুক্তির ঘরোয়া উপায়
১. কাঁচাহলুদ অ্যান্টিবায়োটিকের কাজ করে। কৃমির সমস্যা নিয়ন্ত্রণে কাঁচাহলুদ খেতে পারেন।
২. কাঁচারসুনে প্রায় ২০ ধরনের ব্যাকটেরিয়া এবং ৬০ ধরনের ফাংগাস ধ্বংস করার ক্ষমতা রাখে। তাই সন্তানকে নিয়মিত কুচনো কাঁচা রসুন খাওয়ান।
৩. আদা হজমের সব রকমের সমস্যা নিয়ন্ত্রণে আনতে খুবই কার্যকরী একটি উপাদান। হজমের সমস্যা, অ্যাসিডিটি, পেটে ইনফেকশন ইত্যাদি দূর করতে আদা খেতে পারেন।
৪. শিশুকে খালি পেটে কাঁচা আদার রস খাওয়ান। কৃমির সমস্যায় দ্রুত সেরে যাবে।
৫. পেটের সমস্যা দূর করতে পেঁপে খুব ভালো কাজ করে। কৃমি সমস্যায় পেঁপের বীজ খুবই কার্যকর। কৃমির সমস্যায় দ্রুত ফল পেতে সন্তানকে পেঁপে আর মধু খাওয়াতে পারেন।
৬. ফিতাকৃমির সমস্যা নিয়ন্ত্রণে আনতে শসার বীজ খাওয়াতে পারেন শিশুকে। শশার বীজ শুকিয়ে গুঁড়ো করে প্রতিদিন এক চা-চামচ করে খেলে কৃমির সমস্যায় দ্রুত ভালো হবে।