Logo
×

Follow Us

লাইফস্টাইল

গ্রিন টি

Icon

আখতারুন নাহার আলো

প্রকাশ: ২৪ এপ্রিল ২০২২, ১৫:৫৭

গ্রিন টি

গ্রিন টি শরীরকে সারা দিন সতেজ ও উৎফুল্ল রাখে। ছবি: সংগৃহীত

পৃথিবীতে যত পানীয় আছে, এর মধ্যে পানির পরই চায়ের স্থান। চা মূলত ক্যাসেলিয়া সিনেনসিল উদ্ভিদের পাতা। চায়ের উৎপত্তিস্থল চীন দেশের দক্ষিণ পশ্চিম অঞ্চলে। চা গাছ থেকে পাতা সংগ্রহ করতে যথেষ্ট নৈপুণ্য ও দক্ষতা অর্জন করতে হয়। 

জানা যায়, ১৬৫০ খ্রিস্টাব্দে চীনে বাণিজ্যিকভাবে চায়ের উৎপাদন শুরু হয়। এর অনেক পরে ষোড়শ শতাব্দীতে পর্তুগিজ বণিকদের পরিচয় ঘটে চায়ের সাথে। এরপর সপ্তদশ শতাব্দীতে ব্রিটেনে চা বেশ জনপ্রিয়তা লাভ করে। ইংরেজদের হাত ধরে ভারতীয় উপমহাদেশে চা প্রবেশ করলেও বর্তমানে পৃথিবীর প্রধান উৎপাদনকারী দেশ হিসাবে ভারত স্বীকৃতি লাভ করেছে। আমাদের দেশে সিলেট, পার্বত্য চট্টগ্রাম, পঞ্চগড় চা চাষে বেশ সাফল্য দেখিয়ে যাচ্ছে। গ্রিক দেবী থিয়ারের নাম অনুসারে এর নাম হয় টি। এই টি বা চা হয় তিন ধরনের। গ্রিন টি, উলং টি, ও ব্ল্যাক টি। 

ইদানীং বাংলাদেশে গ্রিন টি বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। শহর ছাড়াও গ্রামে-গঞ্জের মানুষ এর কদর বুঝতে শিখেছে। এর কারণ হলো গ্রিন টি এর বহুবিধ পুষ্টিগুণ। সতেজ সবুজ পাতা রোদে শুকিয়ে তাওয়ায় সেঁকে গ্রিন টি তৈরি করা হয়। এর রং হয় হালকা হলদে সবুজ। এর ভেতর পলিফেনল ফ্লাভোনয়েড নামক অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট বিদ্যমান। এতে ভিটামিন সি ও ভিটামিন ই পর্যাপ্ত পরিমাণে আছে। যা চা তৈরির পরও অক্ষুণ্ণ থাকে। ফলে দেহের ওপর এর গুণাগুণ বেশ কার্যকর হতে দেখা যায়। 

গ্রিন টি শরীরকে সারা দিন সতেজ ও উৎফুল্ল রাখে। সারাদিনে চার কাপ পরিমাণ গ্রিন টি পান করলে হৃদরোগে মৃত্যু ঝুঁকি কমে ৬৮ শতাংশ। নিয়মিত গ্রিন টি পান করলে শরীরের মেদ কোষে গ্লুকোজ ঢুকতে পারে না। ফলে ডায়াবেটিস যেমন নিয়ন্ত্রণে থাকে, তেমনি ওজন কমতেও সহায়তা করে।

Logo

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়: ফেয়ার দিয়া ১১/৮/ই, ফ্রি স্কুল স্ট্রিট (লেভেল-৮), বক্স কালভার্ট রোড, পান্থপথ, ঢাকা ১২০৫