
প্রতীকী ছবি
মানুষের শরীরের অন্যতম আকর্ষণ চুল। তবে কখনো কখনো চুল মানুষের অন্যতম চিন্তার কারণও হয়ে পড়ে। পরিসংখ্যান অনুযায়ী, প্রতি ১০ জনের মধ্যে ৫ জনই চুল পড়া সমস্যায় ভোগেন। এই চুল পড়ার কিছু প্রাকৃতিক কারণ রয়েছে।
চুলের একটা নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত আয়ুষ্কাল থাকে। চুল গজানোর পর সেটির আয়ুষ্কাল প্রায় ১,০০০ দিন হয়ে থাকে। এরপর স্বভাবতই চুলটি ঝরে পড়ে। ঝরার পাশাপাশি নতুন চুলও প্রতিনিয়ত গজাচ্ছে দেখে চুলের পরিমাণে ভারসাম্য বজায় থাকে। তবে সঠিক যত্নের অভাবেও চুল পড়া বেড়ে যায় এবং এর ফলে মাথায় চুলের পরিমাণ ক্রমাগত কমতে থাকে।
আবার টাক পড়ার সমস্যা ছেলেদের ক্ষেত্রে বেশি দেখা যায়। শুধু যে বয়স বাড়লেই টাক পড়তে শুরু করে তা কিন্তু নয়। টাক পড়ার সমস্যা দেখা দিতে পারে কম বয়সেই। টাক পড়া বন্ধ করতে নিয়মিত চুলে তেল দিতে হবে।
চলুন জেনে নেই যেসব তেল চুলে টাক পড়া বন্ধ করবে-
সব ধরনের চুলের যত্নে ব্যবহার করা যায় নারিকেল তেল। এই তেল চুলের যাবতীয় সমস্যা প্রতিরোধ করতে পারে। খুশকি দূর করা, চুলে পুষ্টি জোগানো এবং চুল ঝলমলে করতে নারিকেল তেলের বিকল্প নেই। পুরো চুল কন্ডিশন করতে চাইলে নারিকেল তেল সেরা। এটি চুলের গোড়া শক্ত করে এবং চুল পড়া কমায়। যে কারণে চুলে নিয়মিত নারিকেল তেল ব্যবহার করলে টাক পড়ার সমস্যা দূর হয়।
চুলের যত্নে কার্যকরী হিসেবে নারিকেল তেলের পরেই আসে অলিভ অয়েলের নাম। এটি ব্যবহারে অ্যালার্জির ভয় নেই। অলিভ অয়েল স্পর্শকাতর স্ক্যাল্পের জন্য বেশি ভালো। বিশেষজ্ঞরা স্ক্যাল্পকে ময়েশ্চারাইজ করার জন্য অলিভ অয়েল ব্যবহারের পরামর্শ দেন। এতে উপস্থিত অ্যান্টিইনফ্লেমেটরি বৈশিষ্ট্য মাথার ত্বকের স্বাস্থ্যের উন্নতির জন্য সেরা।
চুলে টাক পড়ার বন্ধ করতে আরেকটি উপকারী তেল হলো অ্যাভোকাডো তেল। এতে আছে ভিটামিন এ, বি, ই, ডি, আয়রন, অ্যামাইনো অ্যাসিড এবং ফলিক অ্যাসিডসহ নানা পুষ্টি। যা চুল বৃদ্ধি করতে সাহায্য করবে। শুষ্ক ও ক্ষতিগ্রস্ত চুল আর্দ্র করতে কাজ করে অ্যাভোকাডো তেল। এই তেল চুলে শক্তি জোগায় এবং ইউভি রশ্মি থেকে রক্ষা করে। গরমে চুল সংক্রান্ত নানা সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে অ্যাভোকাডো তেল। নিয়মিত এই তেল ব্যবহার করলে তা চুলের বৃদ্ধি ও স্বাস্থ্য দুটোই ভালো থাকবে। বন্ধ হবে টাক পড়ার সমস্যা।
টাক পড়ার বন্ধ করতে আপনার জন্য উপকারী হতে পারে বাদাম তেল। নিয়মিত বাদাম তেল ব্যবহার করলে কমে টাক পড়ার সমস্যা। কারণ এই তেল ভিটামিন ই সমৃদ্ধ। চুলের অ্যারোমাথেরাপিতে ব্যবহার করা হয় বাদাম তেল। এটি চুলের গোড়া পরিষ্কার রাখে। সপ্তাহে চারদিন চুলে বাদাম তেল ব্যবহার করলে উপকার পাবেন।