
গাড়িতে ভ্রমণের ছোট শিশুরা বেশি বমির সমস্যায় ভুগে থাকে। ছবি: সংগৃহীত
ঈদুল আযহায় পরিবার-পরিজনের সাথে ঈদ উদযাপনের জন্য দেশের বেশিরভাগ মানুষ গ্রামে ছুটে যান। এই ঈদকালীন ভ্রমণ অন্য যেকোনো সময়ের ভ্রমণের তুলনায় একটু কষ্টকর হয়ে থাকে। তবে ঈদযাত্রা শেষে বাড়িতে আপনজনদের কাছে পৌঁছানোর পর সব বিরক্তিই উবে যায়।
তবে ভ্রমণের সময় অনেকেরই বমির অভ্যাস থাকে। আবার অনেকের আইবিএস সমস্যার জন্য বমিভাব ও পেটে চাপ অনুভব হয় কিংবা মোশন সিকনেস দেখা দেয়। তবে চাইলে এই গরমে কিছু নিয়ম মেনে ভ্রমণে সুস্থ থাকতে পারেন।
এক নজরে দেখে নিন সেই নিয়মগুলো:
প্রথমত ভ্রমণের আগে ভরপেট খাওয়ার বিষয়টি এড়িয়ে যেতে হবে। আর খাওয়ার সময় অবশ্যই ভারী খাবার এবং অতিরিক্ত তেল ও মশলাযুক্ত খাবার এড়িয়ে যেতে হবে।
সাধারণত দূরে ভ্রমণের সময় ক্ষুধা লাগে। তখন শুকনো খাবার খাওয়া যেতে পারে। যেমন, বিস্কিট, খেজুর, কিশমিশ ও অন্যান্য ড্রাই ফ্রুইটস। খোসা সমৃদ্ধ বিভিন্ন ফল যেমন কলা, কমলা ইত্যাদি। এছাড়া চিড়া ও মুড়ি সাথে রাখতে পারেন।
ভ্রমণে বমি বমি ভাব চলে আসলে আদা টুকরো, জিরা বা লেবু পানি খেতে পারেন।
গাড়ির ঝাঁকুনিতে বমিভাব বেশি হয়। এমতাবস্থায় পিছনের সিট এড়িয়ে চলুন। মাস্ক ব্যবহার করুন। সাথে পলিথিন ব্যাগ রাখুন।
ভ্রমণে তুলনামূলক ঢিলেঢালা, সুতির আরামদায়ক পোশাক পড়ুন।
মোশন সিকনেসের প্রবণতা থাকলে চলন্ত গাড়িতে গতির উল্টো দিকে বসবেন না। বিভিন্ন মোবাইল ফোন ব্যবহার, বইপড়া কিংবা গেমস খেলা হতে বিরত থাকুন। যথাসম্ভব চোখ বন্ধ বা ঘুমানোর চেষ্টা করুন।
করোনার সংক্রমণ বেড়ে গেছে ও চতুর্থ ঢেউ চলছে। তাই জার্নিতে অবশ্যই মাস্ক ব্যবহার করুন।
এছাড়া মোশন সিকনেস ও বমিভাব দূর করতে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ঔষধ সেবন করতে পারেন।