-62d4e96ef237b.jpg)
প্রতীকী ছবি
কারও যদি ডায়াবেটিস রোগ থাকে, তা হলে আইসক্রিম খাওয়াটাই হয়ে পড়ে একটা চ্যালেঞ্জ। কিন্তু আইসক্রিমের প্রতি লোভ কাজ করে কমবেশি সবারই। তারপরও ডায়াবেটিস রোগীরা আইসক্রিম খেতে ভয় পান।
তবে নতুন এক গবেষণা ভিন্ন কথা বলেছে। ওই গবেষণা বলছে, আইসক্রিম খেলেই নিয়ন্ত্রণে থাকবে সুগার। আর মজার বিষয় হচ্ছে- আইসক্রিম স্বাস্থ্যের ক্ষতি না করে বরং উপকার করবে।
ব্লু বেরি আইসক্রিম: ব্লু বেরির মধ্যে থাকে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন সি। যা শরীরের জন্য ভালো। তাই ব্লু বেরি থেকে তৈরি আইসক্রিম খেতে পারেন সুগারের রোগীরা। এক্ষেত্রে প্রতি কাপ ব্লু বেরি আইসক্রিমে কার্বোহাইড্রেটের পরিমাণ মাত্র ২০ গ্রাম।
ক্রিম ভ্যানিলা: ছোট-বড় সবারই পছন্দের ফ্লেভার ভ্যানিলা। ভ্যানিলা স্বাদে আইসক্রিমের মধ্যে ক্যালোরির পরিমাণও কম। মাত্র ১৭ গ্রাম কার্বোহাইড্রেট থাকে হাফ কাপ আইসক্রিমের মধ্যে। মোট কথা কৃত্রিম মিষ্টি রয়েছে বা অতিরিক্ত চিনি রয়েছে এরকম আইসক্রিম এড়িয়ে চলতে হবে।
নিউটেলা: চকোলেট ফ্লেভারের মধ্যে সব সময় ক্যালোরি বেশি থাকে। মিষ্টি বেশি থাকে। পরিবর্ত হিসেবে তাই নিউটেলার থেকে তৈরি আইসক্রিম খাওয়ার কথা বলছেন পুষ্টিবিদরা। এই আইসক্রিমের মধ্যে অতিরিক্ত ক্যালোরি বা কার্বোহাইড্রেট থাকে না। যদি বাড়িতে আইসক্রিম বানান তাহলে কিন্তু অতিরিক্ত এক চামচও চিনি দেওয়া যাবে না।
এছাড়াও আরো যা কিছু মাথায় রাখতে হবে-
প্রোটিন পাউডার দিয়েও বানিয়ে নিতে পারেন আইসক্রিম। এর সাথে যোগ করতে পারেন ভ্যানিলা এসেন্স।
ডেজার্ট হিসেবে আইসক্রিম খেতে ভালো লাগে নিঃসন্দেহে, তবে নিয়মিত খাওয়া একেবারেই চলবে না।
রক্তে শর্করার পরিমাণ, ওজন, উচ্চতা এবং অন্যান্য শারীরিক সমস্যার নিরিখে বিচার করে তবেই আইসক্রিম খান। কার্বোহাইড্রেটের পরিমাণ একটা সীমার মধ্যে রাখুন।
তবে সব আইসক্রিম যে সুগার ফ্রি বা কম ক্যালোরির এরকম কিন্তু একেবারেই নয়। আইসক্রিমের মধ্যে স্যাচুরেটেড ফ্যাট বেশি পরিমাণে থাকে। যা বাড়িয়ে দেয় হৃদরোগের ঝুঁকি। তাই ডায়াবেটিস রোগীদের প্রথমেই আইসক্রিম থেকে দূরে থাকার কথা বলা হয়। রক্তে শর্করার মাত্রা বিচার করে তবেই খান আইসক্রিম। প্রয়োজনে ডায়াটেশিয়ানের থেকে ডায়েট চার্ট নিতে কিন্তু ভুলবেন না এবং বিস্তারিত তথ্যের জন্য চিকিৎসকের সাথে পরামর্শ করুন।