
প্রতীকী ছবি
আজ ২৮ জুলাই, বিশ্ব হেপাটাইটিস দিবস। বিশ্ববাসীকে সচেতন করতে ‘বিশ্ব হেপাটাইটিস অ্যালায়েন্স’ ২০০৮ সালে এদিনে হেপাটাইটিস দিবস পালনের উদ্যোগ নেয়। পরে ২০১১ সালে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এদিনকে বিশ্ব হেপাটাইটিস দিবসটিকে স্বীকৃতি দেয়।
হেপাটাইটিস দিবস ২০২২ -এর থিম নির্ধারণ করা হয়েছে ‘হেপাটাইটিস ক্যান নট ওয়েট’ অর্থাৎ ‘হেপাটাইটিস নির্মূলের এখনই সময়’। প্রতিপাদ্যে হেপাটাইটিস নির্ণয় ও এর চিকিৎসার ব্যাপারে গুরুত্বারোপ করা হয়েছে।
বাংলাদেশের মোট জনসংখ্যার প্রায় পাঁচ দশমিক পাঁচ ভাগ মানুষ হেপাটাইটিস বি এবং শতকরা শূন্য দশমিক ছয় ভাগ হেপাটাইটিস সি ভাইরাসের বাহক। তাদের মধ্যে অনেকে দীর্ঘমেয়াদি ইনফেকশনে নানা জটিল লিভার রোগে আক্রান্ত।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্য মতে, বাংলাদেশে হেপাটাইটিস ‘বি’ ও ‘সি’ ভাইরাসে প্রায় এক কোটি মানুষ আক্রান্ত। বেসরকারি হিসাবে হেপাটাইটিসে প্রতি বছর ২০ হাজারের বেশি মানুষের মৃত্যু হয় দেশে।
লিভার ফাউন্ডেশন অব বাংলাদেশ হেপাটোলজি সোসাইটির এক গবেষণায় বলা হয়েছে, জন্ডিস নিয়ে হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা রোগীদের শতকরা ৭৬ ভাগ হেপাটাইটিস ভাইরাসে আক্রান্ত।
হেপাটাইটিস হলো যকৃতের এক প্রকার প্রদাহ। দু’প্রকারের হেপাটাইটিস রয়েছে- তীব্র ও দীর্ঘস্থায়ী। দীর্ঘস্থায়ী হেপাটাইটিস বেড়ে গেলে, পরবর্তীকালে তা থেকে লিভার সিরোসিস বা লিভার ক্যান্সার হতে পারে। পাঁচ প্রকারের হেপাটাইটিস ভাইরাস হয়- হেপাটাইটিস এ ভাইরাস (এইচএভি), হেপাটাইটিস বি ভাইরাস (এইচবিভি), হেপাটাইটিস সি ভাইরাস (এইচসিভি), হেপাটাইটিস ডি ভাইরাস (এইচডিভি) এবং হেপাটাইটিস ই ভাইরাস (এইচইভি), সারা বিশ্ব জুড়ে হেপাটাইটিসের সবচেয়ে সাধারণ কারণ হলো এই ভাইরাসগুলো।
এই হেপাটাইটিস বি এবং সি দীর্ঘস্থায়ী সংক্রমণ তৈরি করে, দীর্ঘ সময় কখনো কখনো বছর বা দশক ধরে এর কোনো লক্ষণ বা উপসর্গ দেখা যায় না এবং তারপরে এটাই লিভার ক্যান্সারের মূল কারণে পরিণত হয়।