
প্রতীকী ছবি
চোখ ওঠা বা কনজাংটিভাইটিস একটি ভাইরাসজনিত সমস্যা। এটি একটি সংক্রামক রোগও। এর ফলে কোনো কোনো সময় বা মৌসুমে একসঙ্গে অনেক মানুষ এ রোগে আক্রান্ত হন। তিন থেকে সাত দিনের মধ্যে চোখ এমনিতে ভালো হয়ে যায়। তবে কোনো কোনো সময় ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া জরুরি হয়ে পড়ে।
উপসর্গ : বেশিরভাগ সময় চোখ লাল হতে দেখা যায়। চোখে পিচুটি জমা হয়, ঘুম থেকে ওঠার পর অনেক সময় চোখের পাতা লেগে থাকতে দেখা যায় এবং চোখ থেকে পানি ঝরে। চোখ জ্বালাপোড়া করে, খচখচ ভাব, অস্বস্তি হয়, হালকা ব্যথা ও ফটোফোবিয়া বা রোদে তাকাতে অসুবিধা হতে পারে।
সতর্কতা :
- চোখে পিচুটি জমলে হালকা নরম পরিষ্কার কাপড় দিয়ে বা পানির ঝাপটা দিয়ে চোখ পরিষ্কার করা যেতে পারে। অনেকে চোখে উঠলে বারবার পানি দিয়ে পরিষ্কার করেন বা চোখে পানির ঝাপটা দেন। এটি মোটেও ঠিক নয়। এছাড়া কোনোমতেই চোখ রগড়ানো যাবে না।
- বাইরে যাওয়ার সময় সানগ্লাস পরতে হবে। এটি রোদে চোখ জ্বলা কমাবে।
- চোখে কোনোমতেই হাত দেওয়া যাবে না। আক্রান্ত চোখে নোংরা পানি, ধুলাবালি, দূষিত বাতাস যেন চোখে প্রবেশ না করে, সেদিকে খেয়াল রাখুন।
- চোখ ওঠা ছোঁয়াচে রোগ, তাই যাদের চোখ উঠেছে, তাদের সংস্পর্শ পরিহার করতে হবে। চোখ ওঠা রোগে আক্রান্ত ব্যক্তির রুমাল, কাপড়চোপড়, তোয়ালে ব্যবহার করা যাবে না।
- হাত সব সময় সাবান বা স্যানিটাইজার দিয়ে পরিষ্কার রাখতে হবে।
- জনসমাগম, অনুষ্ঠান, ক্লাস ইত্যাদি পরিহার করে চলাই ভালো। চোখ ওঠা নিয়ে ক্লাসে উপস্থিত না হওয়াই ভালো।
ডাক্তারের পরামর্শ নেবেন যখন :
সাধারণত চোখ ওঠার তিন দিন থেকে এক সপ্তাহেই সেরে যায়। তবে দৃষ্টি ঝাপসা হলে, চোখ খুব বেশি লাল হলে, খুব বেশি চুলকালে বা অতিরিক্ত ফুলে গেলে দ্রুত ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে।