
সড়ক দুর্ঘটনা যেন আমাদের নিতসঙ্গী হয়ে উঠেছে। এই দুর্ঘটনা জীবনের আলো নিভিয়ে দিতে পারে যে কোনো সময়।
‘আমাকে নিরাপদ রাখতে গাড়ি চালক, মোটরবাইক চালক বা ট্রাফিক পুলিশ সচেতন থাকবে’ সেই কল্পনায় না থেকে আসুন নিজেই সতর্ক হই, পথ চলতে নিরাপদে থাকি।
রাস্তায় চলার সময় লক্ষ্য রাখতে হবে-
১. ফোনে কথা বলবেন না।
২. জেব্রা ক্রসিং ব্যবহার করবেন।
৩. ফুটওভার ব্রিজ ব্যবহার করবেন।
৪. জেব্রা ক্রসিং ও ফুটওভার ব্রিজ না থাকলে সামনে-পেছনে, ডানে-বাঁয়ে দেখে রাস্তা পার হোন।
৫. অসুস্থতার কারণে ফুটওভার ব্রিজ ব্যবহার করতে না পারলে বা যেখানে জেব্রা ক্রসিং নেই সেখানে রাস্তা পার হতে ট্রাফিক পুলিশের সাহায্য নিন।
৬. দৌড়ে রাস্তা পার হতে চেষ্টা করবেন না।
৭. দ্বিধান্বিত হয়ে একবার রাস্ত পার হতে চাইছেন আবার পেছনে ফিরছেন এমনটা করবেন না। এতে চালক দ্বিধায় পড়ে যান।
৮. গাড়ি নিয়ন্ত্রণের লাইটের সংকেত দেখে নিন।
৯. লাল বাতি মানে থামুন, হলুদ বাতিতে চলার জন্য তৈরি হোন এবং সবুজ বাতি মানে সামনে চলতে শুরু করুন।
১০. পাবলিক বাসে ওঠা ও নামার সময় সতর্ক থাকুন।
১১. দৌড়ে বাসে উঠবেন না।
১২. বাস থেকে নামার সময় বাম পা আগে নামাবেন।
১৩. বাস থামার নির্ধারিত স্থান থেকে বাসে উঠুন এবং বাস থেকে নামুন।
১৪. বাস পুরোপুরি থামলে নামবেন। এতে যদি আপনার নামার স্থান থেকে বাস অল্প দূরেও চলে যায় তারপরও অস্থির হবেন না। হাঁটা স্বাস্থ্যের পক্ষে ভালো বরং অস্থির হয়ে বাস থেকে নামতে যাওয়াই ক্ষতিকর।
১৫. আমাদের দেশে গাড়িগুলো সাধারণত রাস্তার বাম দিক দিয়ে চলে তাই ডানপাশ দিয়ে হাঁটুন।
১৬. সঙ্গে শিশু থাকলে তাদের আপনার ফুটপাথের দিকে রাখুন।
১৭. বাইক চালানোর সময় ফুটপাতে ওঠাবেন না।
১৮. গাড়ি চালানোর সময় অবশ্যই খেয়াল রাখুন, সতর্ক থাকুন। দ্রুতগতিতে গাড়ি চালানো থেকে বিরত থাকুন।
১৯. শিশুদের ট্রাাফিক আইন মেনে চলতে শেখান।