নিষ্ক্রিয় শিশুদের বিষণ্ণতায় ভোগার সম্ভাবনা বেশি: গবেষণা

ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২০, ১৩:৪৯

শিশুরা চঞ্চল হবে কিংবা খেলাধুলা করবে এটিই স্বাভাবিক। এতে তাদের শরীর স্বাস্থ্য ভালো থাকে। মন সতেজ থাকে। তবে তাদেরকে কিছুটা কাজের মধ্যেও রাখতে হবে। কেননা, শারীরিকভাবে নিষ্ক্রিয় শিশুরা খুব অল্পতেই বিষণ্ণ হয়ে যায়।
যেসব শিশুরা লম্বা সময় নিষ্ক্রিয়ভাবে বস কোটায় তাদের ১৮ বছর বয়সের মধ্যেই বিষণ্ণতায় আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। এমন তথ্য উঠে এসেছে নতুন এক গবেষণায়।
বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইউনিভার্সিটি কলেজ লন্ডনের গবেষকরা ১২ থেকে ১৬ বছর বয়সী ৪ লাখ ২৫ হাজার ৭১২ জনের সক্রিয়তার মাত্রা যাচাই করে এই প্রতিবেদন প্রকাশ করেছেন।
প্রতিবেদনটিতে বলা হয়েছে, প্রতিদিন যারা অতিরিক্ত এক ঘন্টা হাঁটে বা ঘরের কাজ করে তারা প্রাপ্তবয়স্ক হওয়ার পর তাদের মধ্যে বিষণ্ণতার চিহ্ন অপেক্ষাকৃত কম প্রকাশ পায়।
গবেষণায় অংশ নেয়া ইউনিভার্সিটি অব ব্রিস্টলের ১২, ১৪ ও ১৬ বছর বয়সী শিশুরা টানা তিনদিন অন্তত ১০ ঘন্টা ধরে অ্যাক্সেলারোমিটার পরে থাকে। এই যন্ত্র থেকে পাওয়া মান থেকে বোঝা যায় যে তারা স্থির হয়ে বসে ছিলো, হালকা শারীরিক কার্যক্রমে-যেমন হাঁটা অথবা হালকা থেকে তীব্র কায়িক শ্রম বা দৌড়ানো বা সাইকেল চালানোতে নিয়োজিত ছিলো।
এছাড়া শিশুরা একটি জরিপের প্রশ্নের জবাবও দেয় যেখানে তাদের বিষন্নতার ধরণ সম্পর্কে প্রশ্ন করা হয়। সেখানে প্রশ্ন করা হয় তাদের মনোযোগ নষ্ট হয় কিনা, সুখের অনুভূতি কমে যায় কিনা এবং মানসিকভাবে বিষণ্ণ বোধ করছেন কিনা।
১২ এবং ১৬ বছর বয়সের মধ্যে শারীরিক সক্রিয়তা কমে গেলে বসে থাকা বা অলসতার প্রবণতা বৃদ্ধি পায় বলে উঠে এসেছে গবেষণায়।
গবেষণাটি থেকে ধারণা করা যায় যে, সব বয়সের মানুষেরই শারীরিকভাবে সক্রিয় থাকার প্রচেষ্টা চালিয়ে যাওয়া উচিত।
গবেষণা থেকে জানা যায়,
১. দিনে সাত ঘন্টা থেকে বেড়ে বসে থাকার প্রবণতা হয়েছে সাড়ে আট ঘন্টা। হালকা শারীরিক কার্যক্রমের হার সাড়ে পাঁচ ঘন্টা থেকে কমে চার ঘন্টায় নেমেছে। হালকা থেকে তীব্র শারীরিক কার্যক্রমের হার 'স্থিতিশীল' রয়েছে।
২. গবেষকরা জানিয়েছেন, ১২, ১৪ ও ১৬ বছর বয়সে অতিরিক্ত প্রতি এক ঘন্টা বসে থাকার ফলে গবেষণায় অংশ নেয়াদের বিষণ্ণতার স্কোর যথাক্রমে বেড়েছে ১১.১%, ৮% ও ১০.৭%। যেখানে হালকা কার্যক্রমের ক্ষেত্রে তাদের বিষন্নতার স্কোর ৯.৬৫, ৭.৮৫ ও ১১.১% করে কমেছে।
ইউসিএলের মনোরোগ বিবাগের পিএইচডি'র ছাত্র ও প্রধান গবেষক অ্যারন কান্ডোলা বলেন, শুধু যে কঠিন শারীরিক কার্যক্রমই মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য ভালো, তা নয়। যে কোনো ধরণের শারীরিক কার্যক্রমই মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য ভালো বলে ধারণা করা হচ্ছে।