ভালোবাসার মানুষের প্রতি ভালোবাসা প্রকাশ করার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম হতে পারে উপহার। বিশেষ দিনে উপহার দিয়ে চমকে দিতে পারেন প্রিয় মানুষটিকে। ভালোবাসা দিবসে ভালোবাসার বহিঃপ্রকাশটা হোক একটু অন্যরকম।
এ দিন প্রিয়জনকে ‘ভালোবাসি’ কথাটি বলার মাঝে রয়েছে ভিন্ন আমেজ। এই দিনটিতে যেন আপনার সঙ্গীই হয় আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দু। দু’জনের মাঝে বোঝাপড়ার অভাব থাকলে তা দূর করার জন্য এ দিনটি বেছে নিন। প্রেম, ভালোবাসা ও অনুরাগের মধ্য দিয়েই উদযাপন করা উচিত। দিনটিকে আরো বেশি স্মরণীয় করে রাখার জন্য ভাবছেন কী দেবেন?
ভালোবাসার সঙ্গে ফুলের একটা বিশেষ সম্পর্ক রয়েছে। আর তাই ভালোবাসার এই দিনটিতে ফুল তো চাই-ই। তাই উপহারের তালিকায় রাখতে পারেন ফুল। ঢাকার শাহবাগ ও বেইলি রোডে বিভিন্ন ধরনের ফুল পাবেন। ফুলের ধরনের ওপর নির্ভর করে এর দাম। ছোট-বড়-মাঝারি সাইজের বেশ কিছু লাল গোলাপ কিনতে পারেন। এরপর সুন্দর করে একটি ঝুড়িতে প্যাকেট করুন।
সেখানে কিছু গোলাপের পাপড়ি ছিটিয়ে দিন। এরপর তাকে নিয়ে রিকশায় ঘুরে বেড়ান। ভালো কোথাও খেতে যান। তার হাত ধরে থাকুন, চোখের দিকে তাকিয়ে বলুন, ভালোবাসি! শুধু যে মেয়েরাই উপহার গ্রহণ করবে তা কিন্তু নয়, ছেলেরাও ভালোবাসা দিবসে তাদের সঙ্গীর কাছে বিশেষ কিছু আশা করে। তাকে পারফিউম বা বডি স্প্রে দিতে পারেন। ঘড়িও থাকতে পারে তালিকায়।
স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্কটি বিশেষ বাঁধনে বাঁধা। তাই নিজেদের সম্পর্ক আরো গভীর করার জন্য ভালোবাসা দিবসে একে অপরকে উপহার দিতেই পারেন। এক্ষেত্রে উপহার হিসেবে হতে পারে ওয়ালেট, সেলফোন, ক্যামেরা, ট্যাব, বিভিন্ন ধরনের জুয়েলারি। এ ছাড়া পোশাক বা শাড়িও উপহার হতে পারে। বা দুই-একদিনের ছুটি নিয়ে চলে গেলেন ঢাকার বাইরে কোথাও। নিবিড় সান্নিধ্যে কেটে যাক সারাবেলা।
ভালোবাসার ক্ষেত্রে বন্ধুত্ব সম্পর্কটি একটু ভিন্ন ধরনের। ভালোবাসা দিবসে বন্ধুর জন্য নিতে পারেন উপহার। প্রিয় বন্ধুটিকে উপহার হিসেবে দিতে পারেন ভিন্ন কিছু সে ক্ষেত্রে তা হতে পারে প্রিয় লেখকের কোনো বই, মগ, শোপিস বা তার প্রয়োজন এমন কিছু।
কোথায় পেতে পারেন প্রিয় উপহার
সব বয়সের মানুষ ফুল খুব বেশি ভালোবাসে । ফুল কিনতে চাইলে যেতে পারেন রাজধানীর বেইলি রোড, বনানী, গুলশান অথবা শাহবাগ মোড়ে। এসব জায়গায় ফুলের সংগ্রহ অনেক। একই সঙ্গে বিদেশি ফুলও পাওয়া যায়। দেশি গোলাপ ১০-১৫ টাকা, চায়না গোলাপ ৫০-৭০ টাকা, লিলি ফুল ২০ টাকা, গ্ল্যাডিওলাস ২০-৩০ টাকার মধ্যে পাওয়া যায়।
আর্চিজ গ্যালারি: কার্ড ৯০-২৫০০, মগ ১৫০-১১৫০, ডল ৪৯০-৪৫০০, কানের দুল ১০০-১৫০০, ব্রেসলেট ৪৯০-৩৫০০, গলার লকেট ২০০-৬০০, লাভ কোটেশন ৬৫-১২০, লেডিস ওয়ালেট ২৯০-৭৫০, জেন্টস ওয়ালেট ৪৫০-৭৫০, বডি স্প্রে ২৫০-৩৫০, ক্যান্ডেল লাইট ৩২০-৪৫০, টেডি বিয়ার ২৪০০-৪৫০০, পায়েল ২৫০-২৯০, লাভ ডল ১৩০-২৮০, পারফিউম ৫৫০-৫০০০, শোপিস ডল ২৫০-২৫০০, সানগ্লাস ২৫০-৪৮০০ টাকার মধ্যে।
হলমার্কস: বেসলেট ২৫০-৭০০, ওয়ালেট ৬২০-২০৫০, ঘড়ি ৪৫০-১৭৫০, ক্যান্ডেল লাইট ১১০-৪৫০, ক্রিস্টাল শোপিস ২৫০-২২৫০, কানের ও গলার সেট ৬৫০-৩০৫০, কার্ড ১৫০-৫৫০ টাকা।
আড়ং: মগ ১৩৭, ক্যান্ডেল ৮-৩১৫, ফটোফ্রেম ১৫২-৩০০, জুয়েলারি বক্স ৪৪-৫০০, ক্যান্ডেল স্ট্যান্ড ১৫৭-২৫০, কুশন কভার ১৫৭-৩০০, দুল ৬৯৭-৯২২১ ও পায়েল ৬৫০-১৫০০ টাকা।
আলমাস সুপার শপ: পায়েল ১২০-২৫০, দুল ১৫০-৫৬০, ব্রেসলেট ৪০-৭৭৫, স্টোনের চুড়ি ৭৫০-১৮০০,বডি স্প্রে ১৮০-৩০০ টাকা।
মাদুলি: দুল ১০০-৪৫০, নেকলেস (পিতল) ২৫০-৭০০, বালা (পিতল) ১৭০-২০০, ব্রেসলেট ২৫০-৫০০, কাঠের চুড়ি ৬০-২০০, হাড়ের নেকলেস ৩৫০-৭৫০ টাকা।