
এমন কোনো দম্পতি নেই যারা ঝগড়া করেনি কখনো। ছবি: সংগৃহীত
দাম্পত্য জীবনে রাগ-অভিমান বা ঝগড়া হবে না, এটা সম্ভব না। এমন কোনো দম্পতি নেই যারা ঝগড়া করেনি কখনো। ঝগড়া কেন হয় আসলে? যদি কোনো অভিযোগ, অভিমান থাকে, তবেই তা হয়।
যেখানে কোনো অভিমান বা অভিযোগ নেই, সেই দাম্পত্য যেন প্রাণহীন, তাতে কোনো গতিই নেই। বরং রাগ-অভিমান-ঝগড়ায় মোড়া দাম্পত্যে যেন ভালোবাসা আরও বেড়ে যায়। টান আর আকর্ষণ আরও মজবুত হয়।
সাংসারিক জীবনে মান-অভিমান ঘোচানোর কয়েকটি টিপস:
ত্রুটি বড় করে না দেখা: একজন হয়তো সবসময় মোজা খুলে বিছানায় রেখে দেন। অপরজন টুথপেস্টের ঢাকনা লাগাতে যান ভুলে। অনেক পরিবারে এ সব ছোটখাটো বিষয় নিয়ে ঝগড়া শুরু হয়। তাই এই সব বিষয় এড়িয়ে চললে জীবন কিন্তু অনেক মধুর হতে পারে।
স্বীকৃতি: সব মানুষই মাঝেমধ্যে তার কাজের স্বীকৃতি চায়, এমনকি সংসারের কাজের ক্ষেত্রেও। তাই মাঝেমধ্যে একে অপরকে সে কথা জানান। আরও রোমান্টিক হয়, যদি কথাটা জানানো যায় ছোট্ট একটি নোট লিখে অথবা এসএমএসের মারফত। দেখবেন পরের দিন কাজের আগ্রহ তো বাড়বেই, তার সঙ্গে আপন মানুষটিকে মনে হবে আরও কাছের।
প্রশংসা: অনেক দিন একসঙ্গে থাকার ফলে সবকিছুই কেমন যেন সাধারণ ব্যাপার হয়ে যায়। তাই ‘নতুন পোশাকে বা হেয়ার স্টাইলে সুন্দর লাগছে- এ কথা বলতে একদম সংকোচ করবেন না। এমন ছোটখাটো প্রশংসার ইতিবাচক প্রভাব অনেক কার্যকর হয়।
ভালোবাসার স্পর্শ: ভালোবাসার যত্ন নিতে হয়। ঠিক গাছের মতোই যত্ন নিন প্রিয়জনের। হঠাৎ করেই ফুল বা ছোটখাটো উপহার দিয়ে আপনার প্রিয়া বা প্রিয়তমকে দিন চমকে। মাঝেমধ্যে কখনো নিজেরা এমন কিছু করুন, যাতে অন্য ধরনের গল্প বা আলোচনা হতে পারে।
একসঙ্গে সাইকেল চালাতে বা হাঁটতে যেতে পারেন। খোলা আকাশের নিচে প্রাণ খুলে হাসুন বা কথা বলুন। একে অপরের সঙ্গে সব কিছু ভাগাভাগি করার নামই যে বন্ধুত্ব, আর সেটাই তো দীর্ঘ ও সুখী দাম্পত্যের আসল কথা।
রাগ পুষে রাখতে নেই: দাম্পত্য জীবনে রাগ, দুঃখ, অভিমান তো থাকবেই। কিন্তু তাই বলে রাগ যেন বেশিক্ষণ না থাকে। দিনের শেষে রাগ ভুলে অপরের কাছে এগিয়ে যান। রাগ বা মান ভাঙানোর উত্তম সময় সেটা। তা না হলে দুজনকেই হয়তো না ঘুমিয়ে সারাটা রাত কাটাতে হবে, যার প্রভাব পড়বে পরেও।
কিছুটা দূরত্ব: মাঝেমধ্যে দাম্পত্য জীবনের সব কিছুই একঘেয়েমি মনে হতে পারে। তাই স্বামী তার সহকর্মী বা পুরনো বন্ধুদের সঙ্গে কখনো আড্ডায় যেতে পারেন। স্ত্রী তার ছেলেবেলার বন্ধু-বান্ধবী বা কাছের কোনো মানুষের সঙ্গে শপিং বা সিনেমা দেখতে যেতে পারেন। এতে নিজেকে অনেকটা হালকা মনে হবে। মাঝেমধ্যে একটু দূরত্ব কিন্তু স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে একে-অপরকে কাছে পাওয়ার আনন্দ বাড়িয়ে দেয়।