
গুজরাটের কসাই মোদী এবং তাঁর গেরুয়া বাহিনীর বিষাক্ত ছোবলে আক্রান্ত দিল্লী, আক্রান্ত ভারত। ফ্যাসিস্ট হিন্দুত্ববাদীদের মূল লক্ষ্য হল, বহুত্ববাদী ভারতের যতটুকু সেক্যুলার চরিত্র অবশিষ্ট আছে,তার খোলনলচে পুরোপুরি বদলে দিয়ে, ভারতকে একটি হিন্দুত্ববাদী রাষ্ট্র হিসাবে প্রতিষ্ঠা করা।
আর এ লক্ষ্য বাস্তবায়নে তাঁদের প্রধান প্রতিবন্ধক হল মুসলমান, বামপন্থী, সেক্যুলার এবং খৃস্টানরা। তাই তাঁরা চায় বিশেষতঃ মুসলমান, বামপন্থী এবং সেক্যুলারদের রাষ্ট্র ব্যবস্থা থেকে পুরোপুরি বিযুক্ত করে ফেলতে। দিল্লীতে মুসলমানদের উপর নৃশংস হামলা, এ বৃহৎ পরিকল্পনারই অংশ।
ভারতের সাম্প্রদায়িক রাজনীতির জের ধরে বাংলাদেশ,পাকিস্তানে যারা ধর্মভিত্তিক মৌলবাদী বা সাম্প্রদায়িক রাজনীতির জিগির তুলছেন, তাঁরা প্রকারন্তরে মোদীর হাতকেই শক্তিশালী করছেন। ভারতে হিন্দুত্ববাদের শক্তিশালী বুনিয়াদ তাঁরাই নির্মাণ করছেন।
বহুত্ববাদী, সেক্যুলার ভারতকে পুনুরুদ্ধার করা ছাড়া ভারতের মুসলমানদের রক্ষা করবার আর কোন উপায় নেই। আর এ লক্ষ্যে শুধু ভারতেই নয়, পুরো উপমহাদেশ জুড়েই সেক্যুলার ভাবধারার আন্দোলন জোরদার হওয়া জরুরী।
১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে ভারতের যারা আমাদের সাহায্য করেছিলেন, মোদীর ফ্যাসিস্ট গেরুয়া বাহিনী কর্তৃক তাঁরা আজ আক্রান্ত। ১৯৭১ সালে তাঁরা আমাদের পাশে দাঁড়িয়েছিলেন। আজ আমাদের সময় এসেছে তাঁদের ঋণ শোধ করবার।
ভারতের মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তির উপর আক্রমণের রূপকার মোদী বাংলাদেশে স্বাগত নয়। আপনি যদি মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তি হন, আপনি যদি বাংলাদেশের পক্ষের হন, তাহলে যার যার অবস্থান থেকে মোদীর বাংলাদেশে আগমনের বিরুদ্ধে সোচ্চার হন। জোর গলায় আওয়াজ তুলেন: মুক্তিযুদ্ধের বাংলায়, ফ্যাসিস্ট খুনী মোদীর কোন জায়গা নেই।
লেখাটি সাঈদ ইফতেখার আহমেদের ফেসবুক স্ট্যাটাস থেকে নেয়া হয়েছে